ভীতসন্ত্রস্ত মহানবী সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে খাদিজা (রা.) বলেন, ‘আপনি শান্ত হোন। আল্লাহ আপনাকে কখনো লাঞ্চিত অপদস্থ করতে পারেন না। কারণ, আপনি সবসময় আত্মীয়-স্বজনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ আচরণ করেন। (তাদের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেন না বা অনাত্মীয়সুলভ আচরণ করেন না।’
আপনি সবসময় সত্য বলেন। আপনি অপরের বোঝা বহন করেন। (কর্জ প্রভৃতি শোধ করেন।) নিঃস্বদের দেখাশোনা করেন। অতিথিদের সেবা যত্ন করেন। বিপদগ্রস্তদের সাহয্য করেন এবং সত্যের সহায়তা করেন।মেহমানদারির বিষয়টিতে ইসলামে সবসময় গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। ইসলামের বিধি অনুযায়ী মেহমানদারি নবীজির সুন্নত। আল্লাহর নবী হজরত ইবরাহিম (আ.) সর্বপ্রথম পৃথিবীতে মেহমানদারির প্রথা চালু করেন।
আতিয়্যা আওফি (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন,
আমি রসুলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি, মহান আল্লাহ হজরত ইবরাহিম (আ.)-কে এ কারণে বন্ধুরূপে গ্রহণ করেছেন, তিনি মানুষকে খানা খাওয়াতেন, বেশি বেশি সালাম দিতেন আর মানুষ রাতে ঘুমিয়ে পড়লে তিনি নামাজ আদায় করতেন। (তাম্বিহুল গাফিলিন)
মেহমানদারির ফজিলত সম্পর্কে আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসুলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে ঘরে মেহমানদারী করা হয়, উটের কুঁজের মাংস কাটার উদ্দেশে ছুরি যত দ্রুত অগ্রসর হয়, সে গৃহে বরকত তার চেয়েও দ্রুত প্রবেশ করে। (ইবনু মাজাহ)
মেহমানদারির প্রতি উৎসাহিত করে বিশ্বনবী সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হজরত আবদুল্লাহ ইবনে ওমর রাদিয়াল্লাহু আনহুকে উদ্দেশ্য করে বলেন,
নিশ্চয়ই তোমার ওপর তোমার মেহমানের হক রয়েছে। (বুখারি)মহান আল্লাহর প্রিয় বান্দা ও রসুল ইবরাহিম আলাইহিস সালাম আল্লাহর নিকটবর্তী হওয়ার অন্যতম কারণ ছিল মেহমানদারি। আমাদের রসুল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামও মেহমানদারির প্রতি গুরুত্বারোপ করতেন।
তিনি বলেন,
আল্লাহ তাআলা হজরত ইবরাহিম (আ.)-কে এ কারণে বন্ধুরূপে গ্রহণ করেছেন যে, তিনি মানুষকে খানা খাওয়াতেন, বেশি বেশি সালাম দিতেন আর মানুষ রাতে ঘুমিয়ে পড়লে তিনি নামাজ আদায় করতেন। (তাম্বিহুল গাফিলিন)
নবীজি (স.) বলেন,
যে ব্যক্তি আল্লাহ ও পরকালের প্রতি ঈমান রাখে, সে যেন মেহমানের সমাদর করে। (বুখারি ৬১৩৬)