ডেস্ক নিউজ : মোহরের মূল উদ্দেশ্য, নারীকে সম্মান ও মর্যাদা দেওয়া। যখন কোনো পুরুষ স্ত্রীকে ঘরে নিয়ে আসবে, তখন তাকে মর্যাদার সঙ্গে আনবে। এমন কিছু উপহার দেবে, যা তার মর্যাদা বাড়ায়। মোহর এতো অল্প নির্ধারণ না করা যাতে মর্যাদার কোনো ইঙ্গিত না থাকে। আবার এতো অধিকও নির্ধারণ না করা, যা পরিশোধ করা স্বামীর পক্ষে অসম্ভব হয়ে পড়ে।
ইসলাম স্বভাবজাত ধর্ম। মানুষের সকল চাহিদার সুষ্ঠু সমাধান রয়েছে ইসলামে। মহান আল্লাহ নারী-পুরুষের চরিত্র পবিত্র ও নিষ্কলুষ রাখতে বিয়ের নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি বলেন,
فَانۡکِحُوۡا مَا طَابَ لَکُمۡ مِّنَ النِّسَآءِ مَثۡنٰی وَ ثُلٰثَ وَ رُبٰعَ ۚ فَاِنۡ خِفۡتُمۡ اَلَّا تَعۡدِلُوۡا فَوَاحِدَۃً
অর্থ: তোমরা বিয়ে করো তোমাদের পছন্দের নারীদের থেকে, দুজন অথবা তিনজন অথবা চারজন; কিন্তু যদি আশঙ্কা করো যে তোমরা ভারসাম্যপূর্ণ আচরণ করতে পারবে না, তাহলে মাত্র একজন। (সুরা নিসা, আয়াত: ৩)
মোহরের সর্বোচ্চ পরিমাণ নির্ধারিত নয়। তবে সর্বনিম্ন পরিমাণ নির্ধারিত। সর্বনিম্ন পরিমাণের কমে মোহর ধার্য করা যাবে না। অনেকে নিজেকে খুব বেশি উদার প্রমাণ করার জন্য মোহর ছাড়াই বিয়ে করেন। এটা খামখেয়ালিপনা। ইসলামি শরিয়তের বিধান হলো- বিয়েতে সর্বনিম্ন মোহর ১০ দিরহাম। অর্থাৎ ৩০.৬১৮ গ্রাম রুপা। ১০ দিরহামের কম পরিমাণ মোহর নির্ধারণে স্ত্রী রাজি হলেও তা শরিয়তের দৃষ্টিতে বৈধ হবে না।
১০ দিরহামের কম কোনো মোহর নেই। বায়হাকি শরিফ: ৭/২৪০)। বাজারের তারতম্যের ভিত্তিতে পৌনে তিন ভরি খাঁটি রুপার মূল্য যখন যে হারে হয়- মোহরের সর্বনিম্ন মূল্যও তখন তা হবে। স্ত্রীর বংশ ও তার সমমানের নারীদের মোহরের পরিমাণ বিবেচনা করাও উচিত। (বাদায়েউস সানায়ে : ২য় খণ্ড, ২৭৫ পৃষ্ঠা)।
কিউএনবি/আয়শা/১৯ অক্টোবর ২০২৫,/বিকাল ৩:১৯