আশুলিয়া নারী ও শিশু হাসপাতালে ভুল চিকিৎসায় শিশু মৃত্যুর অভিযোগ
মশিউর রহমান, আশুলিয়া (ঢাকা) প্রতিনিধি ।
Update Time :
বৃহস্পতিবার, ২ অক্টোবর, ২০২৫
৮৩
Time View
মশিউর রহমান, আশুলিয়া (ঢাকা) প্রতিনিধি : ঢাকার আশুলিয়ায় নারী ও শিশু হাসপাতালে ভুল চিকিৎসা এবং নার্সদের অবহেলার কারণে মিনহজ নামেত দুই বছরের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছেন শিশুটির পরিবার। তবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবী গলায় খাবার আটকে তার মৃত্যু হতে পারে। বৃহস্পতিবার রাত ৯ টার দিকে ওই শিশুর মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন আশুলিয়া নারী ও শিশু হাসপাতালের সহকারী ব্যবস্থাপক মো: হাবীবুর রহমান। শিশু মিনহাজ আশুলিয়ার জামগড়া কাঠালতলা এলাকার মো. নুরুল ইসলামের ছেলে ।
পরিবার সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার সকালে হালকা জ্বর ও কাশি নিয়ে ওই শিশুকে আশুলিয়া নারী ও শিশু হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। হাসপাতালে ভর্তি করার পরপরই শিশুটিকে একটা ইনজেকশন পুশ করা হয়। ইনজেকশন পুশ করানোর কিছুক্ষণের মধ্যেই তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকে। শিশুটির মা অভিযোগ করে বলেন, “আমার ছেলেকে একটা ইনজেকশন দেওয়ার পরই তার শরীর ঠাণ্ডা হয়ে যায়। আমি নার্সদের ডাকলেও তারা সময়মতো আসেনি। একপর্যায়ে তারা বলে, ‘কিছু না, ঠিক হয়ে যাবে।’ কিন্তু কিছুক্ষণ পরই আমার ছেলে নিস্তেজ হয়ে পড়ে।” এর পর প্রায় কয়েক ঘন্টা আমার বাচ্চা কোথায় আছে তাও বলেনি পরে খুঁজে বের করে দেখি বাচ্চা মৃত।
পরিবারের দাবি, ইনজেকশন দেওয়ার আগে কোন পরীক্ষা-নিরীক্ষা বা ওষুধের প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে নিশ্চিত না হয়ে চিকিৎসা দেওয়া হয়। শিশুটির চাচা বাঁধন ইসলাম মুঠোফোনে জানান, ডেঙ্গু পজেটিভ নিয়ে তার ভাতিজা মিনহাজকে আশুলিয়া নারী ও শিশু হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কিন্তু সাড়ে ১২ টার দিকে তার মৃত্যু হয়। আমরা তার লাশ নিয়ে গ্রামের বাড়ি রাণীশৈংকল নিয়ে যাচ্ছি। সেখানেই দাফন করা হবে। বলেই ফোনটি কেটে দেন তিনি।
আশুলিয়া নারী ও শিশু হাসপাতালের সহকারী ব্যবস্থাপক হাবীবুর রহমান মুঠোফোনে জানান, শিশুটিকে সকাল ৯টার দিকে হাসপাতালে আনা হয়। পরে এখানে চিকিৎসা দেওয়ার পর ভালোর দিকেই ছিল। সম্ভবত শিশুটিকে কোন খাবার খাওয়ানো হয়েছিল যা খাদ্য নালীতে আটকে যায় এবং পরে তার মৃত্যু হয়।
শিশুটিকে কেন ২/৩ ঘন্টা অন্যত্র সরিয়ে রাখা হয়েছিল এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এটা প্রশ্নই আসেনা। একটা মৃতকেতো আর ওয়ার্ডে রাখা যায় না। তাই মারা গেলে যেখানে লাশ রাখা হয় সেখানেই রাখা হয়েছিল। এব্যাপারে আশুলিয়া থানার ওসি মো. আব্দুল হান্নানের মুঠোফোনে বার বার চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি। তাই এ ঘটনায় প্রশাসনের কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি।