 
																
								
                                    
									
                                 
							
							 
                    লাইফ ষ্টাইল ডেস্ক : সকালের নাশতায় কিংবা হালকা কোনো খাবারে সেদ্ধ ডিমের ব্যবহার খুব সাধারণ। কিন্তু এই সহজ খাবারটির সবচেয়ে বিরক্তিকর অংশ হলো খোসা ছাড়ানো। অনেক সময়ই দেখা যায়, খোসার সঙ্গে ডিমের সাদা অংশ উঠে আসে বা খোসা ছাড়ানোর পরও পাতলা এক আবরণ ডিমের গায়ে লেগে থাকে।
কেন খোসা ছাড়ানো কঠিন হয়?
ডিমের বাইরের শক্ত খোসার নিচে থাকে দুটি পাতলা মেমব্রেন। এর নিচেই থাকে ডিমের সাদা অংশ ও মাঝখানে কুসুম। খোসা ও সাদা অংশের মাঝে একটি বায়ুকোষ থাকে।
বিজ্ঞানীরা বলছেন, ডিমের সাদা অংশের পিএইচ (pH) মান অর্থাৎ এর অ্যাসিড-ক্ষার মাত্রা যদি ৮.৭ থেকে ৮.৯ হয়, তখন খোসা ছাড়ানো সবচেয়ে সহজ হয়। এই মান সাধারণত পুরোনো ডিমে পাওয়া যায়। টাটকা ডিমে এই মান কম থাকে বলে খোসা লেগে যায়।
পুরোনো ডিম = সহজ খোসা
ডিম যত পুরোনো হয়, তত বেশি বায়ুকোষ বড় হয় এবং সাদা অংশ সংকুচিত হয়। এর ফলে খোসা ছাড়ানো সহজ হয়। তাই এক-দুদিন পুরোনো ডিম সেদ্ধ করলে ভালো ফল পাওয়া যায়।
ডিম সেদ্ধ করার আগে ও পরে কিছু টিপস
• ডিম সেদ্ধ করার আগে ঘরের তাপমাত্রায় এনে নিন, ঠান্ডা ডিম হঠাৎ গরম পানিতে দিলে ফেটে যেতে পারে।
• ফুটন্ত পানিতে ডিম দিয়ে ধীরে আঁচে রান্না করুন। এতে মেমব্রেন আলগা হয়।
• সেদ্ধ হওয়ার পর বরফপানিতে ডুবিয়ে রাখুন—সাদা অংশ সংকুচিত হয়ে খোসা সহজে ছাড়ে।
লবণ, ভিনেগার বা বেকিং সোডা কাজ করে?
অনেকেই খোসা ছাড়াতে পানিতে লবণ, ভিনেগার বা বেকিং সোডা মেশানোর কথা বলেন। গবেষণা বলছে, এতে কিছু ক্ষেত্রে উপকার হয়। ভিনেগার খোসার ক্যালসিয়াম ভেঙে দেয়, আর বেকিং সোডা ক্ষারীয় পরিবেশ তৈরি করে মেমব্রেন আলাদা হতে সাহায্য করে।
বিকল্প পদ্ধতি
• স্টিমিং (বাষ্পে রান্না): ডিম স্টিম করলে মেমব্রেন আলগা হয়, খোসা ছাড়ানো সহজ হয়।
• এয়ার ফ্রায়ার বা মাইক্রোওয়েভ: এসব পদ্ধতির কার্যকারিতা নিয়ে এখনও গবেষণা চলছে।
খোসাও ফেলনা নয়
ডিমের খোসা কম্পোস্ট, বাগানে শামুক তাড়ানো বা বীজতলার পাত্র তৈরিতে ব্যবহার করা যায়। এমনকি কিছু ক্ষেত্রে গবেষণাতেও এর ব্যবহার রয়েছে।
এই তথ্যগুলো উঠে এসেছে ইউনিভার্সিটি অব সাদার্ন কুইন্সল্যান্ডের অধ্যাপক পৌলমি বৌরির গবেষণা থেকে, যা প্রকাশিত হয়েছে ‘দ্য কনভারসেশন’-এ।
কিউএনবি/আয়শা/০৩ মে ২০২৫, /সন্ধ্যা ৭:৫৪