মোঃ আফজাল হোসেন, দিনাজপুর প্রতিনিধি : দিনাজপুর জেলার সীমান্তবর্তী বদরগঞ্জ-পার্বতীপুরের শেষ সীমানা পাঁচপুকুরিয়া নামক এলাকায় অসামাজিক কার্যকলাপ সহ অপরাধ জগতের আন্ডারগ্রাউন্ড গড়ে তুলেছে মিঠুন মিয়া। মিঠুন দম্পতির দৌরাত্বায় অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে ভুক্তভোগী এলাকাবাসী। পাঁচপুকুরিয়া এলাকায় অসামাজিক কার্যকলাপ বন্ধের দাবিতে শতাধিক সচেতন গ্রামবাসী গণস্বাক্ষর সম্বলিত আবেদন দিনাজপুর পুলিশ সুপার, সার্কেল এস,পি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, পার্বতীপুর মডেল থানার ওসি, গণমাধ্যম সহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছেন।
জানা গেছে, পার্বতীপুর উপজেলার ১০ নং হরিরামপুর ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ড এর বাসিন্দাগন লিখিত অভিযোগ পত্রে দাবি করেন, দিনাজপুর জেলার পার্বতীপুর থানার পাশাপাশি রংপুরের বদরগঞ্জ লোহানি পাড়া ইউনিয়নের গুনুরঘাট বাতাসন গ্রামের ইয়াছিন আলীর ছেলে মিঠুন মিয়া(৪২)পাঁচ পুকুরিয়া এলাকায় এসে সামাজিক বনায়নের গাছপালা কর্তন করে রাতের আঁধারে বন বিভাগের ৮৬৩ নং দাগে জায়গা জবর দখল করে বসবাস শুরু করে এবং এলাকায় গরু ছাগল চুরি, ভ্যান অটো বাইক চুরি, বন বিভাগের গাছ পাচার, মদ গাঁজা, ইয়াবা সহ বিভিন্ন মাদক দ্রব্য বিক্রি করেন। তাছাড়া অন্য এলাকা থেকে মেয়ে নিয়ে এসে বাড়িতে রেখে অসামাজিক কার্যকলাপ করে। শুধু তাই নয় অন্য এলাকার অপরাধী দের নিজ বাড়িতে আশ্রয় দিয়ে এই এলাকায় চুরি করায়।
এলাকার লোকজন এসব কার্যকলাপের প্রতিবাদ করতে গেলে মিঠুন দম্পতি বিভিন্ন ধরনের মামলা দিয়ে প্রতিবাদকারিদের হয়রানি করে এবং প্রকাশ্য দেশীয় অস্ত্র, রামদা দিয়ে জীবন নাশের হুমকি ও বাড়ি ঘর পুড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেয়। তাদের অপকর্ম নিয়ে মুখ খুললেই মিঠুনের স্ত্রী শামিমা বেগম পরিকল্পিত ভাবে মিথ্যা ধর্ষন মামলা দিয়ে নাস্তানাবুদ করে, ইতোমধ্যে উক্ত শামিমা বেগম মহল্লার ১০/১৫ জনের নামে ধর্ষন মামলা দিয়েছে। সীমান্তবর্তী এলাকা হওয়ার কারনেই কোন ঘটনা ঘটা মাত্রই ওপারের লোকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে এসে হামলা চালিয়ে দ্রুত বদরগনজ এলাকায় চলে যায়। সংঘবদ্ধ পাঁচ পুকুরিয়া বাসী নিরুপায় হয়ে অসৎ মাদক ব্যবসায়ী মিঠুন দম্পতির দৌরাত্বা থেকে বাঁচতে প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করেন। কথা স্ধসঢ়;হানীয় বাসিন্দা খোরশেদ আলমের সঙ্গে, তিনি জানান বহিরাগতদের কে নিয়ে এসে মিঠুন অরাজকতা সৃষ্টি করেছে শান্তিপ্রিয় এলাকাবাসী এ গুলো বন্ধের জন্য স্ধসঢ়;হানীয় চেয়ারম্যান মেম্বারদের নিকট অনেকবার গেছি এখন প্রশাসনের নিকট লিখিত গন আবেদন করে দেখি ।
আগামি ৭ই নভেম্বরের মধ্যে আইনানুগ প্রতিকার পাইতে ব্যর্থ হলে এলাকাবাসী ৮ নভেম্বর/২৫ মানববন্ধন সহ অন্যান্য কর্মসুচী পালনে বাধ্য হবে। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট মহিলা সদস্য আনজুম আরা বলেন দফায় দফায় স্ধসঢ়;হানীয় পুলিশ তদন্ত কেন্দ্র সহ অনেক চেষ্টা করেও পরিস্থিতির উন্নতি হয়নি। সচেতন মহল মনে করেন সীমান্তবর্তী এলাকা হওয়ার সুবাদে অপরাধী চক্র যেন কোন অবস্থাতেই অপরাধের অভয়ারণ্যে গড়ে তুলতে না পারে সেদিকে পুলিশ প্রশাসনকে কঠোর হতে হবে।
কিউএনবি/অনিমা/২১ অক্টোবর ২০২৫,/সন্ধ্যা ৬:৫৪