লাইফ ষ্টাইল ডেস্ক : এখন প্রায়ই গণমাধ্যমের শিরোনামে থাকছে রাজধানী ঢাকার বায়ু দূষণ। বর্ষায় কিছুটা কমলেও শীত ও গরমে প্রায় প্রতিদিনই বিশ্বে দূষিত শহরের তালিকায় শীর্ষে থাকছে ঢাকা। মানুষের ফুসফুস জনিত নানা রোগ, হাঁপানি, ক্যানসার এমনকি অকাল মৃত্যু ডেকে আনতে পারে বায়ু দূষণ। হার্ভার্ডের এক গবেষণা বলছে, গর্ভাবস্থায় দূষিত বাতাসের সংস্পর্শে আসছে শিশুর অটিজমের ঝুঁকি বেড়ে যায়। তাই দূষিত বাতাস থেকে নিজেকে দূরে রাখা খুবই জরুরি।
বাতাসের দূষণের পূর্বাভাস দেখে কাজের পরিকল্পনা করুন। বাতাস যখন বেশি দূষিত থাকে তখন যতদূর সম্ভব বাইরে বের হওয়া এড়িয়ে চলুন। সুইজারল্যান্ড ভিত্তিক বায়ুদূষণ পর্যবেক্ষক সংস্থা আইকিউএয়ার প্রতি ঘণ্টার আপডেট দেয়।
ঢাকার দূষিত বাতাস থেকে নিজেকে রক্ষা করার সবচেয়ে কার্যকরী ও বাস্তবসম্মত উপায় হলো মাস্ক ব্যবহার করা। বাসা বা অফিস থেকে বের হলেই এন-৯৫ বা এন-৯৯ মাস্ক ব্যবহার করবেন। মোটরসাইকেল চালানোর সময়েও মাস্ক ব্যবহার করবেন। এতে বায়ু দূষণকারী ধূলিকণা ও ২.৫ মাইক্রোমিটারের ছোট পদার্থ ফুসফুসে ঢুকতে পারবে না।
দিনের বেলা বাড়ির দরজা-জানালা বন্ধ রাখবেন বিশেষ করে সেই সময় যখন বাতাস বেশি দূষিত থাকে। বাসায় যখন থাকবেন তখন ঘরের দরজা-জানালা বন্ধ রাখুন। এমনকি রাস্তার গাড়ি নিয়ে বের হলে গাড়ির গ্লাস উঠিয়ে দিন। ধূমপান বায়ু দূষণের অন্যতম কারণ। তাই দূষণ রোধে ধূমপান এড়িয়ে চলুন।
বাড়ির ভেতরে ও ছাদে গাছ লাগাতে পারেন। ঘরের ভেতর এ্যলোভেরা, স্পাইডার প্লান্টের মতো গাছ লাগাতে পারবেন। এগুলো বাতাস পরিশুদ্ধ করে। বাড়ির ছাদে গুল্মজাতীয় নানা ধরণের গাছ রোপন করতে পারেন।
বাড়িতে এয়ার পিউরিফায়ার ব্যবহার করতে পারেন। বিশেষ করে বাসায় গর্ভবতী নারী বা শিশু থাকলে তাদের রুমে পিউরিফায়ার ব্যবহার করতে পারেন।
নিয়মিত বাসার ভেতরটা পরিষ্কার করুন। বাসায় কার্পেট থাকলে সেগুলো নিয়মিত পরিষ্কার করতে হবে। এছাড়া বায়ু দূষণের ক্ষতিকর প্রভাব রোধে ভিটামিন সি ও ওমেগা ফ্যাটি এসিডযুক্ত খাবার খেতে পারেন।
কিউএনবি/অনিমা/০৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৪/বিকাল ৩:৩৬