ডেস্ক নিউজ : মঙ্গলবার (১৭ জুন) জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মহসীন উদ্দিন এ বিষয়ে একটি গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেন। এতে ‘চাঁদপুর ইলিশের বাড়ি’ পরিচিতি টিকিয়ে রেখে ইলিশের প্রকৃত মূল্য নির্ধারণের কথা বলা হয়েছে।
জেলা প্রশাসক জানান, বর্তমানে ইলিশের মৌসুম চললেও বাজারে দামে তার প্রভাব নেই। সাধারণ মানুষ যেন এই প্রাকৃতিক সম্পদের স্বাদ থেকে বঞ্চিত না হয়, তাই ইলিশের সঠিক মূল্য নির্ধারণ করা সময়ের দাবি।
সম্প্রতি চাঁদপুর বড়স্টেশন পাইকারি বাজারে ২ কেজি ৪ গ্রাম ওজনের একটি ইলিশ ১৩ হাজার ৪০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। আকারভেদে প্রতি কেজি ইলিশ ১ হাজার ৮০০ থেকে ৩ হাজার ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যেখানে দুই বছর আগেও সর্বোচ্চ দাম ছিল ১ হাজার ৮০০ টাকা।
জেলেরা বলছেন, নদীতে কাঙ্ক্ষিত ইলিশ না পাওয়ায় জ্বালানি, নৌকা ও জালের খরচ উঠে আসে না। আবার মহাজনের দাদনের কারণে নির্দিষ্ট আড়তেই বিক্রি করতে বাধ্য হন।
চাঁদপুর মৎস্য ব্যবসায়ী সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ শবেবরাত দাবি করেন, চাঁদপুরের পাইকারি বাজারে তেমন কোনো সিন্ডিকেট নেই। বরিশাল, ভোলা, কক্সবাজারসহ অন্যান্য জেলার সঙ্গে দামের পার্থক্য খুবই সামান্য। তবে দেশের অন্যতম ইলিশ গবেষক ড. মোহাম্মদ আনিছুর রহমান মনে করেন, উৎপাদন বাড়লেও বাজারে দাম নিয়ন্ত্রণে না আসার বিষয়টি প্রশাসনের গুরুত্ব দিয়ে খতিয়ে দেখা উচিত।
মৎস্য বিভাগ সূত্র বলছে, চলতি বছর ইলিশের উৎপাদন ৬ লাখ মেট্রিক টনের কাছাকাছি পৌঁছেছে, যা গত বছরের তুলনায় অনেক বেশি। জেলা প্রশাসনের গণবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এই বাজারব্যবস্থায় নজরদারি বাড়ানো হলে সাধারণ মানুষের নাগালে ইলিশ ফিরে আসবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
কিউএনবি/আয়শা/১৭ জুন ২০২৫, /বিকাল ৫:১৫