শনিবার, ২১ জুন ২০২৫, ০৮:২৯ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম
বাংলাদেশ ও সরকারের বিরুদ্ধে অপতথ্য ছড়াচ্ছেন শোয়েব চৌধুরী: প্রেস উইং অর্থনীতির ভিত সমৃদ্ধ করতে টেকসই সমুদ্রনীতি গড়তে হবে: প্রধান উপদেষ্টা সময় এসেছে দেশকে নতুন করে গড়ে তোলার: মির্জা ফখরুল ফরিদপুরে সাপের কামড়ে যুবকের মৃত্যু ‘রোগীরা শ্বাসকষ্টে ভুগছে’—বিস্ফোরণের ধোঁয়া নিয়ে উদ্বেগ ইরানে মনিরামপুরে এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের বিদায় সংবর্ধনা খিয়ার মির্জাপুর জামে মসজিদের নতুন কমিটি গঠন  সংঘাত বন্ধে ইরানকে কূটনৈতিক প্রস্তাব দেবে ফ্রান্স ইরানে হাসপাতালে হামলার প্রমাণ আন্তর্জাতিক সংস্থায় পাঠাবে রেড ক্রিসেন্ট ২০২৪ সালে শিশুদের প্রতি সহিংসতা ‘ভয়াবহ মাত্রায়’: জাতিসংঘ

গরমে সাবধানে রাখুন শিশুকে

Reporter Name
  • Update Time : মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪
  • ১২০ Time View

লাইফ ষ্টাইল ডেস্ক : এ বছর বৈশাখের শুরু থেকেই খরতাপ দেখা যাচ্ছে দেশজুড়ে। প্রচন্ড তাপপ্রবাহে বিপর্যস্ত জনজীবন। তবে এই গরমে সবচেয়ে বেশি কষ্ট পায় শিশুরা। প্রচণ্ড গরমে শিশুদের বিভিন্ন ধরনের ঝুঁকি তৈরি হয়। যেমন ডায়রিয়া হলে দ্রুত পানিশূন্যতা হওয়া, ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা, অতিরিক্ত ঘাম থেকে সর্দি–কাশি, জ্বর, খাবারে অনীহা ইত্যাদি।

শিশুদের অসুস্থতার সঙ্গে তাদের মেজাজও খিটখিটে হয়ে যায়। গরমে শিশুদের সুস্থ রাখতে প্রয়োজন বাড়তি যত্ন।

শিশুর পানিশূন্যতা

প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের তুলনায় শিশুদের দ্রুত পানিশূন্যতা দেখা দিতে পারে। এর প্রধান কারণ হলো:

শিশুর ডায়রিয়া হলে পাতলা পায়খানা ও বমির সঙ্গে ওজন সাপেক্ষে বেশি লবণ ও পানি বেরিয়ে যায়। এছাড়া শিশুদের বিপাক প্রক্রিয়ার হার প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তিদের চেয়ে তুলনামূলক বেশি। অতিরিক্ত তাপ বের হওয়ার সময় ত্বক থেকে বেশি বেশি পানি জলীয় বাষ্প আকারে বেরিয়ে যায়। ছোট শিশুরা পিপাসা পূরণের জন্য বড়দের ওপর অনেকটা নির্ভরশীল।

শিশুর পানিশূন্যতা হলে অস্থিরতা, জিহ্বা শুকিয়ে যাওয়া, কান্না করলে চোখে পানি না আসা, মাথা ব্যথা, বমি বমি ভাব দেখা দিতে পারে। এ সময় শিশুর পিপাসা বেড়ে যায়।

তবে অতিরিক্ত ঘামা বা একেবারেই ঘাম না হওয়া খারাপ লক্ষণ। অনেক সময় পানিশুন্যতায় প্রস্রাব কমে যায়। অতিরিক্ত গরমে শরীরের তাপমাত্রা অতিরিক্ত বেড়ে গিয়ে শিশু নিস্তেজ হয়ে পড়তে পারে, হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত হতে পারে।

সচেতনতা

প্রচন্ড গরমের এই সময়ে শিশুর বাড়তি যত্নের প্রয়োজন।

১. গরমে শিশুকে নিয়মিত সাবান দিয়ে গোসলের পাশাপাশি পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে।

২. শিশুকে পুষ্টিকর এবং শরীরকে ঠান্ডা রাখে এমন খাবার দিতে হবে। অন্যান্য খাবারের সঙ্গে প্রচুর পরিমাণে পানি ও ফলের জুস খাওয়াতে হবে।

৩. গরমে শিশুর পোশাক হতে হবে আরামদায়ক, হালকা ঢিলেঢালা ও সুতি কাপড়ের। দুপুরে রোদে বের না হওয়াই ভালো। এছাড়া রোদে বেশিক্ষণ খেলাধুলা থেকে বিরত রাখা উচিত।

৪. গরমে শিশুর দুর্বলতা কাটাতে মাঝে মাঝে খাওয়ার স্যালাইন খেতে দিন।

৫. শিশুর হাতের কাছে পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি ও পানীয় রাখতে হবে। লক্ষ্য রাখতে হবে, শিশু যেন পরিমিত পানি পান করে।

৬. শিশু যদি বেশি পানি খেতে না চায় তাহলে লেবুর শরবত, কমলার রস বা ডাবের পানি খাওয়ান।

৭.   গরমের সময় শিশুর চুল ছোট রাখুন। কেননা বড় চুল শুকাতে সময় লাগে, আর ঘামও বেশি হয়।

৮. বাইরের রোদ, তাপ ও ধুলাবালি থেকে দূরে রাখুন।

৯. শিশু ঘেমে গেলে ঘাম মুছে দিতে হবে। শরীরে ঘাম শুকিয়ে গেলে শিশুর জ্বর হতে পারে। অনেক সময় এমন জ্বর অল্পদিনে এমনিতেই সেরে যায়। কিন্তু বেশি দিন হয়ে গেলে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

১০. এই গরমে শিশুর খাদ্যতালিকায় তরমুজ, শসা, জাম, লিচু আনারস এবং কমলার মতো ফল রাখতে হবে। বাইরের খাবার একদম এড়িয়ে চলতে হবে।

 

 

কিউএনবি/আয়শা/২৩ এপ্রিল ২০২৪,/বিকাল ৪:৪০

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

আর্কাইভস

June 2025
M T W T F S S
 12
3456789
10111213141516
17181920212223
24252627282930
31  
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৫-২০২৩
IT & Technical Supported By:BiswaJit