বুধবার, ২২ অক্টোবর ২০২৫, ০৪:৩৭ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম
বাংলাদেশ-ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচ: এক ম্যাচে ৬ রেকর্ড ঢাকার ১১ স্থানে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আ.লীগের ঝটিকা মিছিল, গ্রেফতার ১৩১ ৯ বলের সুপার ওভার, পাঁচ বলে ৫ রান করতে পারেনি বাংলাদেশ চিকিৎসক হয়েও সুরের ভুবনে ঝংকার তুলছেন রানা প্রশাসনে রদবদল নিয়ে স্পষ্ট বার্তা দিলেন প্রধান উপদেষ্টা বিদেশি তাঁবেদার থেকে দেশ রক্ষার সুযোগ তৈরি হয়েছে: রেজাউল করিম দৌলতপুরে ক্লিনিক ব্যবসার আড়ালে দেহ ব্যবসা : আটক-২ অবিশ্বাস্য থ্রোতে ভাঙল ৪৪ রানের জুটি, বাংলাদেশকে ম্যাচে ফেরালেন মিরাজ ফুলের মতো পবিত্র মানুষগুলোই আপনাদের ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলেছে”–কুড়িগ্রামে পথসভায় ব্যারিস্টার ফুয়াদ কিম বাহিনীর সঙ্গে উত্তেজনা, প্রতিরক্ষা জোরদারের ঘোষণা দক্ষিণ কোরিয়ার

কুদরতের অপার বিস্ময় বৃষ্টি

Reporter Name
  • Update Time : মঙ্গলবার, ৫ আগস্ট, ২০২৫
  • ৪১ Time View

ডেস্ক নিউজ : বৃষ্টি মহান আল্লাহর সৃষ্টিকুশলতার এক অনুপম নিদর্শন। মহান রবের এক অপূর্ব সৃষ্টি আকাশ থেকে ঝুমঝুম রবে নেমে আসা বারিধারা। বৃষ্টির মাধ্যমে আল্লাহতায়ালা মৃতপ্রায় ভূমিকে সজীব করে তোলেন। ফলে প্রকৃতি নবউদ্যমে জেগে ওঠে। আকাশ থেকে অঝোর ধারায় নেমে আসা এই বৃষ্টির মাঝে জ্ঞানবান চিন্তাশীলদের জন্য রয়েছে অনেক শিক্ষা, আছে সীমাহীন চিন্তার খোরাক। পবিত্র কোরআন মাজিদে ইরশাদ হয়েছে, তাঁর (আল্লাহ) একটি নিদর্শন এই যে তিনি তোমাদের দেখান বিজলী, ভয় ও আশা সঞ্চারকরূপে এবং আকাশ থেকে বারি বর্ষণ করেন, অনন্তর তা দ্বারা শুষ্ক নির্জীব ভূমিকে সজীবতা দান করেন। নিশ্চয়ই এর মধ্যে নিদর্শন আছে, সেসব লোকের জন্য, যারা বুদ্ধিকে কাজে লাগায়। (সুরা আর রুম-২৪) অন্যত্র ইরশাদ হয়েছে, যদি আপনি তাদের (মক্কার মুশরিকদের) জিজ্ঞেস করেন, কে আকাশ থেকে বারি বর্ষণ করে, অতঃপর তা দ্বারা ভূমিকে নির্জীব হয়ে যাওয়ার পর সঞ্জীবিত করে? তবে তারা অবশ্যই বলবে, মহান আল্লাহ। বলুন, সব প্রশংসা আল্লাহরই। কিন্তু তাদের অধিকাংশই তা বোঝে না। (সুরা আনকাবুত-৬৩) এভাবে পবিত্র কোরআনের বহু আয়াতে বৃষ্টির উপকারিতা সম্পর্কে নির্দেশনা রয়েছে। বৃষ্টি মানুষের মনকে প্রফুল্ল করে তোলে। হৃদয়জুড়ে আনন্দের অনুভূতি নিয়ে আসে এই বৃষ্টি। আল্লাহর রহমতে প্রকৃতিতে প্রকাশ পায় স্বস্তির ছাপ। বৃষ্টির সময় একজন মুমিনের কিছু করণীয় আমল রয়েছে, যার মাধ্যমে একজন মুমিন মহান আল্লাহর এই বিশেষ নিয়ামতকে যেমন উপভোগ করতে পারবে, তেমনি এই সময়টুকু তার ইবাদতে শামিল হবে। এ নিবন্ধে বৃষ্টির সময় করণীয় কিছু আমল নিয়ে কথা- ১. আল্লাহর কাছে রহমত প্রার্থনা করা : বৃষ্টি সাধারণত রহমতের বার্তা বয়ে আনলেও মাঝে মাঝে এই বৃষ্টিই আবার দুর্ভোগের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। এ কারণে রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বৃষ্টি দেখলেই মহান আল্লাহর দরবারে উপকারী বৃষ্টির জন্য দোয়া করতেন। আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত, যখন বৃষ্টি হতো রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তখন বলতেন, ‘আল্লাহুম্মা সয়্যিবান নাফিআহ’, (অর্থ : হে আল্লাহ! তুমি এ বৃষ্টিকে প্রবহমান এবং উপকারী করে দাও)। (নাসায়ি, হাদিস : ১৫২৩) কখনো ঝোড়ো হাওয়া বইলে আল্লাহর দিকে গভীরভাবে মনোনিবেশ করে তাঁর ভয়ে কম্পমান থাকা উচিত। আয়েশা (রা.) বলেন, আমি এ বিষয়ে তাঁকে (রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে) জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, আমার আশঙ্কা হয় যে আমার উম্মতের ওপর কোনো ‘আজাব’ এসে পতিত হয় নাকি। তিনি বৃষ্টি দেখলে বলতেন, ‘রহমাতান’ এটা (আল্লাহর) রহমত। (মুসলিম, হাদিস : ১৯৬৯) ২. অতিবৃষ্টি থেকে বাঁচতে দোয়া : কখনো কখনো অতিবৃষ্টির কারণে আমাদের দুর্ভোগের শেষ থাকে না। রাস্তাঘাট ডুবে গিয়ে চলাচলে সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হয়। কখনো আবার অতিবৃষ্টির কারণে বন্যায় সবকিছু তলিয়ে যায়। তাই অতিবৃষ্টি থেকে বাঁচতে আল্লাহর কাছে দোয়া করার বিকল্প নেই। রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের সে দোয়া শিখিয়েছেন। অতিবৃষ্টিতে তিনি মহান আল্লাহর কাছে দোয়া করতেন, ‘আল্লাহুম্মা হাওয়ালাইনা ওয়ালা আলাইনা’ অর্থ : হে আল্লাহ! তুমি বৃষ্টি আমাদের আশপাশে বর্ষণ কর, আমাদের ওপরে নয়। (নাসায়ি, হাদিস : ১৫২৭) উল্লেখ্য এখানে এটি উদ্দেশ্য নয় যে আমাদের পাশের এলাকা ডুবিয়ে দাও, বরং উদ্দেশ্য হলো, জনবসতিহীন কোথাও বৃষ্টি সরিয়ে নাও। ৩. বৃষ্টির পানি স্পর্শ করা : বৃষ্টির সময় শরীরে বৃষ্টির পানির স্পর্শ গ্রহণ করা ছিল রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের প্রিয় অভ্যাস।

আনাস (রা.) বলেন, আমরা রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সঙ্গে ছিলাম। এমন সময় বৃষ্টি নামল। তখন রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর কাপড় খুলে দিলেন। ফলে এতে বৃষ্টির পানি পৌঁছাল। আমরা জিজ্ঞেস করলাম, হে আল্লাহর রসুল! এরূপ কেন করলেন? তিনি বলেন, কেননা এটা (এই পবিত্র পানি) মহান আল্লাহর কাছে থেকে আসার সময় খুবই অল্প। (মুসলিম, হাদিস : ১৯৬৮) ৪. বৃষ্টির সময় দোয়া করা : আকাশ ভেঙে যখন বৃষ্টি নামে তখন আমাদের উচিত মহান আল্লাহর দরবারে কায়মনোবাক্যে দোয়া করা। কেননা বৃষ্টির সময় দোয়া কবুল হয়। রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, বৃষ্টির সময়ের দোয়া কবুল হয়ে থাকে। (আবু দাউদ, হাদিস : ২৫৪০) ৫. বৃষ্টি শেষে দোয়া পড়া : বৃষ্টি থেমে গেলে আল্লাহর শোকর আদায় করে রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের শেখানো দোয়া পড়া উচিত। রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সাহাবায়ে কেরামদের একটি বিশেষ দোয়া পড়ার তাগিদ দিয়েছেন। দোয়াটি হলো- ‘মুতিরনা বিফাদলিল্লাহি ওয়া রহমাতিহ।’ এর অর্থ হলো, আল্লাহর অনুগ্রহ ও রহমতে আমাদের ওপর বৃষ্টি বর্ষিত হয়েছে। (বুখারি, হাদিস : ১০৩৮)

লেখক : খতিব, আউচপাড়া জামে মসজিদ, টঙ্গী, গাজীপুর

কিউএনবি/অনিমা/৫ আগস্ট ২০২৫/বিকাল ৩:০৫

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

আর্কাইভস

October 2025
M T W T F S S
 123456
78910111213
14151617181920
21222324252627
282930  
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৫-২০২৩
IT & Technical Supported By:BiswaJit