ডেস্ক নিউজ : পবিত্র ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে দেশের গুরুত্বপূর্ণ দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে যাত্রী ও কুরবানির পশুবাহী যানবাহনের নির্বিঘ্ন পারাপার নিশ্চিত করতে ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। এ উপলক্ষে নৌরুটে ১৭টি ফেরি ও ২০টি লঞ্চ চলাচলের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।
জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আবু রাসেল বলেন, আসন্ন ঈদুল ফিতর উপলক্ষে দৌলতদিয়া ঘাট এলাকায় চার স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে। থানা পুলিশ, সাদা পোশাকে পুলিশ, ডিবি পুলিশসহ একাধিক টিম থাকবে। এছাড়াও নৌ পুলিশ, হাইওয়ে পুলিশ আমাদের সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করবে। যাত্রীদের নিরাপত্তার স্বার্থে জেলা পুলিশ সর্বদা মাঠে থাকবে।
জেলা প্রশাসক সুলতানা আক্তার বলেন, ঈদে ঘরমুখো মানুষের স্বস্তিতে বাড়ি ফেরা নিশ্চিত করতে প্রশাসন সর্বাত্মক প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে। দৌলতদিয়া ঘাট এলাকায় ঈদের আগে ও পরে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট থাকবে। যাত্রীদের থেকে যেন অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করা না হয় সেজন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি জেলা প্রশাসনের মোবাইল কোর্ট থাকবে। তারপরও আমি সংশ্লিষ্ট সবার সহযোগিতা কামনা করছি।
সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন- জেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উছেন মে, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আবু রাসেল, আনসার ভিডিপির জেলা কমান্ড্যান্ট মো. আনোয়ার হোসেন সরকার, গোয়ালন্দ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. নাহিদুর রহমান, গোয়ালন্দ ঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ রাকিবুল ইসলাম, দৌলতদিয়া নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (ওসি) ত্রিনাথ সাহা, বিআইডব্লিউটিসির দৌলতদিয়া ঘাট শাখার সহকারী মহাব্যবস্থাপক মোহাম্মদ সালাহ উদ্দিন, বিআইডব্লিউটিএর টিআই সাগর মল্লিক, জেলা সড়ক পরিবহণ মালিক গ্রুপের সভাপতি জুয়েল, জেলা বাস মিনিবাস পরিবহণ শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি (ভারপ্রাপ্ত) রমজান আলী, লঞ্চ মালিক সমিতির সভাপতি আব্দুর রশিদ মল্লিক প্রমুখ।
কিউএনবি/আয়শা/২৫ মে ২০২৫, /সন্ধ্যা ৬:৫২