লাইফ ষ্টাইল ডেস্ক : বেশিরভাগ বীজ জাতীয় খাবারে রয়েছে উচ্চমাত্রায় প্রোটিন, স্বাস্থ্যকর ফ্যাট (ওমেগা-৩), ফাইবার, ভিটামিন ও খনিজ উপাদান যেমন- পটাশিয়াম, ফসফরাস ও ম্যাগনেশিয়াম। এই উপাদানগুলো সাধারণভাবে স্বাস্থ্যকর হলেও, কিডনি রোগীদের ক্ষেত্রে কিছু ঝুঁকি তৈরি করতে পারে। যেমন পটাশিয়ামের মাত্রা বেড়ে গেলে হার্টবিট অনিয়মিত হয়ে যেতে পারে, এমনকি হৃৎস্পন্দন বন্ধও হতে পারে। ফসফরাস জমে গিয়ে হাড় ক্ষয়, ত্বকের চুলকানি এবং হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায়। অতিরিক্ত প্রোটিন রক্তে ইউরিয়া বাড়িয়ে দেয়; যা কিডনি রোগীদের জন্য ক্ষতিকর।
এখন প্রশ্ন আসতেই পারে, সব বীজযুক্ত খাবারই কি কিডনি রোগীর জন্য অনুপযুক্ত? উত্তর হচ্ছে না, সব বীজযুক্ত খাবারই কিডনি রোগীর জন্য অনুপযুক্ত নয়। তবে কিডনি রোগীর অবস্থা (যেমন: কিডনির কার্যকারিতা কতটা কমেছে, ডায়ালাইসিসে আছে কিনা, পটাশিয়াম বা ফসফরাসের মাত্রা বেড়েছে কিনা) অনুযায়ী কিছু বীজযুক্ত খাবার সীমিত করতে হয় বা এড়িয়ে চলতে হয়। উচ্চ পটাশিয়াম যুক্ত বীজযুক্ত খাবার যেমন পাকা কলা, বেল, খেজুর, বরবটি সেদ্ধ, মিষ্টি কুমড়া সেদ্ধ, বীটরুট, রসুন, কচু জাতীয় খাবার কিডনি রোগীকে এড়িয়ে চলতে হয়।
সব বীজজাতীয় খাবার কিডনি রোগীর জন্য ক্ষতিকর নয়। রোগীর কিডনির কার্যকারিতা, ডায়ালাইসিস প্রয়োজনীয়তা ও রক্তে ইলেক্ট্রোলাইটের মাত্রা অনুযায়ী খাদ্য নির্বাচন করতে হয়। তাই কোনো বীজজাতীয় খাবার গ্রহণ করা যাবে এবং কতটুকু পরিমাণে তা নির্ধারণ করবেন একজন প্রশিক্ষিত ডায়েটিশিয়ান বা নিউট্রিশনিস্ট।
লেখক:
ইশরাৎ জাহান উম্মি
ট্রেইনিং ডায়টেশিয়ান/নিউট্রিশনিস্ট
কিডনি ফাউন্ডেশন হাসপাতাল
কিউএনবি/আয়শা/১৪ মে ২০২৫, /সন্ধ্যা ৬:২৪