ডেস্ক নিউজ : বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আহতদের দেখতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে এসেছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম এবং যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। এসময় আহতদের হাতে আর্থিক সহায়তা তুলে দেন তারা।
‘জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশন’র পক্ষ থেকে উপদেষ্টারা এ সহায়তা দেন বলে জানা গেছে। গত জুলাইয়ের শুরুর দিকে সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলন শুরু হয়। তখন তা দমনে শেখ হাসিনার সরকার মাত্রাতিরিক্ত বলপ্রয়োগ করে বলে অভিযোগ ওঠে। এ কারণে ওই আন্দোলন রূপ নেয় সরকার পতনের আন্দোলনে। এক পর্যায়ে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান ঘটে।
এই অভ্যুত্থানের মুখে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার সরকারের পতন ঘটে। প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে ভারতে চলে যান শেখ হাসিনা। তার সরকারের অনেক মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের নেতাদের অনেকে বিদেশে পালিয়ে গেছেন। কেউ কেউ গা ঢাকা দিয়েছেন। সেই আন্দোলনে সরকারের হিসাব মতে, অনেক শিশু-কিশোরসহ ৭৩৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন ২৩ হাজারের বেশি মানুষ। এদের মধ্যে ৪০০ জন চোখ হারিয়েছেন। দুই চোখ হারিয়েছেন ২০০ জন।
অভ্যুত্থানে নিহত ও আহতদের সহায়তার জন্য গঠিত হয় ‘জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশন’। এর সভাপতি করা হয় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে। আর সেক্রেটারির দায়িত্ব দেওয়া হয় আন্দোলনে শহীদ মীর মুগ্ধর জমজ ভাই মীর মাহবুবুর রহমান স্নিগ্ধকে।
কিউএনবি/আয়শা/১৩ অক্টোবর ২০২৪,/রাত ১০:১২