মিজানুর রহমান মিন্টু,জয়পুরহাট : জয়পুরহাট নারী ও শিশু আদালত চত্ত্বরে এ্যাডভোকেট গোলাম রব্বানী মাছুম কর্তৃক ৩ মাসের গর্ভবতী নারীকে নির্যাতনের অভিযোগ করেছে ওই নারীর পিতা জয়পুরহাট সদর উপজেলার গঙ্গাদাসপুর গ্রামের মৃত কোমল বক্সের ছেলে আজিজুল ইসলাম।
বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) দুপুরে জয়পুরহাট জেলা প্রেসক্লাবে এক সাংবাদিক সম্মেলনে লিখিত অভিযোগ করেন তিনি।লিখিত অভিযোগে তিনি জানান, তার জামাতা জয়পুরহাট সদর উপজেলার পূর্ব পুরানাপৈল গ্রামের ফজলুর রহমান এর ছেলে নূর আলম বিদ্যুৎ তার তালাকপ্রাপ্ত স্ত্রীর নিকট হতে আইনগত ভাবে নিজ সন্তান নেয়ার জন্য কোর্টে মামলা দায়ের করেন। গত ১৮ এপ্রিল ২০২৪ ইং তারিখে মামলাটির শুনানী শেষে আজিজুলের জামাতা নূর আলম জয়পুরহাট নারী ও শিশু জজ কোর্টের ৩য় তলার বারান্দায় তালাকপ্রাপ্ত স্ত্রী মনিরা খাতুন এর নিকট হতে সন্তানকে দেখতে চাইলে তার স্ত্রীর পক্ষের উকিল অভিযুক্ত এ্যাডভোকেট গোলাম রব্বানী মাছুম বাধা প্রনান করে। এসময় তিনি বাধা প্রদানের কারন জানতে চাইলে অভিযুক্ত এ্যাডভোকেট তার সাথে থাকা অজ্ঞাত ২/৩ জন মিলে নূর আলমকে এলোপাতারি মারধর করতে থাকে। তখন নূর আলমের সাথে থাকা ৩ মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী রিনা খাতুন ও পিতা ফজলুর রহমান তাদের বাধাা প্রদান করলে তাদেরকেও বেধরক মারপিট করে এবং শীলতাহানী করে। এক পর্যায়ে আজিজুলের জামাতা ও মেয়েকে মারধর করে উকিল বারের ৪র্থ তলায় একটি রুমের মধ্যে আটক করে রাখে।
অভিযুক্তদের আঘাতের ফলে তার মেয়ের গোপানাঙ্গ দিয়া রক্তখরন হইতে থাকিলে তারা তাদেরকে মামলা মোকর্দ্দমা না করার জন্য বিভিন্ন প্রকার ভয়ভীতি ও হুমকি প্রদান করে সন্ধ্যার দিকে ছাড়ে দেয়। পরবর্তীতে তার মেয়ে ও জামাতাকে জয়পুরহাট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে দেন। বর্তমান তারা চিকিৎসাধীন অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি আছে। এঘটনায় অভিযোগকারী আজিজুল ইসলাম বাদী হয়ে জয়পুরহাট সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। যাহার মামলা নং- ৫০/২০২৪।

এব্যাপারে অভিযুক্ত এ্যাভোকেট গোলাম রব্বানী মাছুম এর নিকট অভিযোগের বিষয়ে মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি অভিযোগটি মিথ্যা বলে দাবী করে বলেন, প্রকৃত পক্ষে ঘটনার দিন আদালত চত্ত্বরে আজিজুলের জামাতা নূর আলম বিদ্যুৎ তার তালাকপ্রাপ্ত স্ত্রীর নিকট থেকে সন্তানটিকে ছিনিয়ে নিতে চাইলে আমরা বাধা দেই। সে কারনে আমাদের তারা মারধর করে। এ ঘটনার আমি নিজে বাদী হয়ে সদর থানায় মামলা দায়ের করেছি।জয়পুরহাট সদর থানা অফিসার ইনচার্জ হুমায়ন কবির জনান, এ বিয়য়ে থানায় পৃথক দুটি মামলা হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত কেউ গ্রেফতার হয়নি।
কিউএনবি/অনিমা/২৫ এপ্রিল ২০২৪,/দুপুর ২:৫৫