শুক্রবার, ০৪ জুলাই ২০২৫, ০৪:১২ অপরাহ্ন

বেআইনীভাবে ভবন ভাংচুর: ক্ষতিপূরণ চান বৃদ্ধা

শহিদ আহমেদ খান সাবের,সিলেট প্রতিনিধি।
  • Update Time : বৃহস্পতিবার, ১৭ আগস্ট, ২০২৩
  • ১২৯ Time View

শহিদ আহমেদ খান সাবের,সিলেট প্রতিনিধি : সিলেট সিটি কর্পোরেশন এর ১৫ নং ওয়ার্ডের মিরাবাজার আনছার বিডিপি সংলগ্ন উদ্বিপন-৪৭/৩, নং বাসায় মোবাইল কোর্ট কর্তৃক বেআইনীভাবে ভবন ভাংচুর ক্ষতিসাধন হয়েছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী, ভূমি সচিব, স্থানীয় সরকার ও সমবায় সচিব, মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী ও বর্তমান নির্বাচিত মেয়র আনেয়ারুজ্জামান চৌধুরীর কাছে অভিযোগ দাখিল করেছেন বাসার মালিক মালিকুন নেহার খান, দোকান ভাড়াটিয়া দেলোওয়ার হোসেন খান, মোঃ উসমান গণি ও সাহেদুর রহমান রনি।

গত ১৬ আগস্ট দাখিলকৃত অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন, কোনোরূপ নোটিশ না দিয়া বেআইনীভাবে আমাদের নির্মানাধীন ভবন যাহা পূর্বে বাড়ীর বাওয়ান্ডারীর ভিতরের ভবন ছিল। পরবর্তীতে বাওয়ান্ডারী দেয়াল ভেঙ্গে দোকান ও বাড়ির সিকিউরিটি অফিসে রূপান্তরিত করি। যাহা মিউনিসিপ্যালিটি কর্তৃক সমস্ত বাড়ীর পারমিশন প্রাপ্ত হই যাহার বিল নং-১৩৮১১, তারিখ-২৭/১১/২০০৩ইং। মালিকুন নেহার খান ভূমির এস এ মালিক ছিলেন আমার দুই শাশুড়ী হারি বিবি ও হানিফা বিবি, স্বামী খান সাহেব আব্দুল করিম।

পরবর্তীতে তাদের মৃত্যুতে রেজিস্ট্রার্ট বাটোয়ারামূলে আমার স্বামী সফিকুর রহমান খান উক্ত নিম্ন তপশীল বর্ণিত ভূমির মালিক হইয়া ভোগ দখল করাবস্থায় সমস্ত বাড়ীর পারমিশন মিউনিসিপ্যালিটি কর্তৃক আদায় করিয়া ভোগ দখলে থাকাবস্থায় তাহার নামে নামজারী করাইয়া বর্তমানে জরীপে মাঠ পর্চা এর মধ্যমে তসদিকৃত পর্চা পাইয়া ভোগদখল আসাবস্থায় ১০৮১৬ নং রেজিস্ট্রার্ড দলিলে বিগত ১৩/১২/২০১৭ ইং তারিখে আমার স্বামী আমার নামে নিম্ন তপশীল বর্ণিত ভূমি হস্থান্তর করেন। যাহা কপি সংযুক্ত পরবর্তীতে উক্ত দোকান দেলোওয়ার হোসেন খান ফার্ণিচারের কারখানা ও মোঃ উসমান গণি চটপটি দোকান ও সাহেদুর রহমান রনি পানের দোকান ভাড়াপ্রদান করি। তাহারা আমি মালিকুন নেহার খান নিকট থেকে যথারিতী লিখিত ভাড়ানামা নিয়ে ও সিলেট সিলেট সিটি কর্পোরেশন হইতে সন সন ট্রেড লাইসেন্স করিয়া হালসন পর্যন্ত নবায়ন করিয়া ব্যবসা পরিচালনা করিয়া আসিতেছেন কপি সংযুক্ত।

আমাদের কোনোরূপ নোটিশ না দিয়া বিগত ১৪/০৮/২০২৩ ইং তারিখ বেলা অনুমান ১২.০০ঘটিকার সময় আমার বাড়ীতে হানা দিয়ে প্রথমে আমার বাড়ীর সিকিউরিটি অফিসের গ্লাস ভাংচুর, সিসি ক্যামেরা, কম্পিউটার ভাংচুর ও বিদুৎ লাইন ভাংচুর, বাওয়ান্ডারী দেয়াল ভাংচুর করে বাড়ী ভিতরে প্রবেশ করিয়া বাড়ীর উত্তর দিকে ভবনটির পূর্ব পশ্চিমের ছাদ হেমারদ্বারা ও দেয়াল ভাংচুর করিয়া দোকানের ভিতরে থাকা অনেক মালামাল ক্ষতিসাধন করে। যাহা-তাদেরকে জিজ্ঞাসা করা হইলে তাহারা বলে আমাদের মালিক মালিকুন নেহার খান নোটিশ প্রদান করিয়াছে।

যাহা সম্পুর্ন মিথ্যা ও বানোয়াট। যাহা ভিডিও ফোটেজের প্রমান আছে। যাহা সময় মতো পেশ করা হবে। সিটি কর্পোরেশনের অফিসের সচিব ফাহমিদা ইয়াসমিন, পিতা-মৃত সাজ্জাদ মিয়া ও সিসিকের ইঞ্জিনিয়ার সেলিম এর যোগসাজসে আমাদের বাড়ীর সামনের দালানের সিকিউরিটি অফিস সহ উক্ত বাড়ীর যাথারিত সিটি কর্পোরেশনের অনুমতি নিয়ে বসবাস করিয়া আসিতেছি। কিন্তু বর্তমানে দেখা যায় মরহুম সাজ্জাদুর রহমান জীবমানে আমি মালিকুন নেহার খান স্বামীর এস এ ১১১০৫ দাগের ভূমি যাহা এস এ ১১১০৪ দাগে সংলগ্ন থাকায় প্রায় দেড় শতক জায়গা বেআইনীভাবে দখল করে।

সাজ্জাদুর রহমান মারা যাওয়ার পর উনার মেয়ে বর্তমান সিটি কর্পোরেশন এর সচিব থাকায় বেআইনীভাবে ক্ষমতার অপব্যবহার করে প্রভাব খাটাইয়া মেয়র মহোদয়কে ভূল বুঝাইয়া আমাদের বাড়ীর নিকটে সচিব ফাহমিদা ইয়াসমিন অনুমান ৫০ বছরের পুরাতন ভবন সংলগ্ন থাকায় আমাদের সীমানায় প্রায় ৫ ফুট জায়গা ভবনের উপর দিকে আমাদের সীমার ভিতরে চলে আসে এবং বাড়ীর উপর ময়লা পানি আবর্জনা আসিতেছে। জনৈক সাহেদ মিয়া নামক ব্যক্তিকে ভাড়াটিয়া দিয়া পার্লার স্থাপন করিয়া ভাড়াটিয়া দিয়া পার্লারের ভাতরুম আমাদের বাড়ীর উপরের ময়লা পানি আবর্জনা আসিতেছে এবং ঐ পার্লারে অপকর্ম হইতেছে। বাড়ীর উক্ত পাশে ১১১০৪ দাগে সেলিম মিয়া ও রেখা বেগম গং সিটি কর্পোরেশন বিল্ডিং কোড মোতাবেক ২.৫০ ফুট দোকান না রাখিয়া আমাদের দেয়ালের সঙ্গে দোকান নির্মান করা হইয়াছে।

যাহা বিভিন্ন সময় আমাদের বাড়ীতে ময়লা পানি আসিয়া পরিবেশ এর মারাত্মক ক্ষতি করিতেছে। এ ব্যপারে সিটি কর্পোরেশন এর অসাধু কর্মচারীর কারণে তাহা বন্ধ হচ্ছেনা। এখানে আরও উল্লেখ থাকা আবশ্যক সিটি কর্পোরেশনের সচিব এর মেয়ের পিতা জীবমানে আমার স্বামী এবং আমার চচা শশুর বিগত ০৫/০৮/১৯৮৫ ইং তারিখে মিউনিসিপ্যালিটি কর্তৃক ১টি নক্সা অনুমোদনের প্রাপ্ত হন। সাজ্জাদুর রহমান কর্তৃক সীমানার চিহ্নিত হইয়া সিটি কর্পোরেশন কর্তৃক ম্যাপ অনুমোদিত হয় কপি সংক্ত। উক্ত ম্যাপে তাদের বাওয়ান্ডারী দেয়াল আলাদা, আমাদের বাওয়ান্ডারী দেয়াল আলাদা থাকা স্বত্বে তাহার লোকজন উক্ত বাওয়ান্ডারী দেয়ালের অর্ধেকাংশ ভাংচুর করিয়া আমাদের দেয়াল বেআইনীভাবে দাবী করিতেছে।

যাহা তাদের অভিযোগে সচিবের নির্দেশে উক্ত ভাংচুর সংগঠতি হয়েছে এবং বর্তমানে তাদের পিতার নির্মিত দেয়ায়ের অংশ সরজমিন গেলে পাওয়া যাবে। উক্ত সিটি কর্পোরেশন এর অনুমোদিত ম্যাপের কপি সংযুক্ত। এমতাবস্থায় আপনি জরুরী ভিত্তিতে তদন্তপূর্বক দোষি ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা ও বিতর্কিত সচিব ফাহমিদা ইয়াসমিন এর বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ ও আমাদের বাসাবাড়ীর দেওয়াল ও দালান ভাংচুরের ও মালামাল সহ মোট ৩০,০০,০০০/-টাকার ক্ষতি পূরন দেয়ার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করিবেন। বর্তমানে আমাদের বাড়ীর দেয়াল ভাঙ্গা ও বাড়ীর পিছনের দেয়াল ভাঙ্গা থাকায় বাড়ীর কোনো নিরাপত্তা নাই।

 

 

কিউএনবি/আয়শা/১৭ অগাস্ট ২০২৩,/রাত ৯:০৪

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

আর্কাইভস

July 2025
M T W T F S S
1234567
891011121314
15161718192021
22232425262728
2930  
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৫-২০২৩
IT & Technical Supported By:BiswaJit