আনিছুর রহমান মানিক, ডোমার (নীলফামারী) প্রতিনিধি : নীলফামারীতে ডোমারে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে পারিবারিক দ্বন্দের জের ধরে স্বামীর হাতে নির্যাতনের শিকার হয়ে গৃহবধু মর্জিনা আক্তার (২৩) এখন হাসপাতালের। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলা বামুনিয়া ইউনিয়নের ০৬নং ওয়ার্ড অধিকারী পাড়া গ্রামে। সরেজমিনে জানা যায়, উক্ত গ্রামের মৃত- জালাল উদ্দিনের ছেলে মনিরুজ্জামান সুজনের সাথে উপজেলার জোড়াবাড়ী ইউনিয়নের জামিয়ারের স্কুল পাড়া গ্রামের মজনু মিয়ার কন্যা মর্জিনা আক্তারের বিগত ২৬/০১/২০১৮ সালে পারিবারিক ভাবে বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে কারণে অকারণে পারিবারিক বিষয় নিয়ে প্রায় সময় মর্জিনার স্বামী সুজন ও শাশুরী মনিরা বেগম শারিরিক ও মানুষিক নির্যাতন করতো মর্জিনাকে।
সংসার জীবনে তাদের কোলজুড়ে একটি কন্যা সন্তান সিনহা (০৩) জন্ম নেয়। কণ্যা সন্তান হওয়ায় পরিবারের লোকজন নির্যতনের মাত্রা বাড়িয়ে দেয় বলে মর্জিনা অভিযোগ করেন। ঘটনার দিন শনিবার ৫ই আগষ্ট দুপুরে বাড়িতে সব্জির গাছ কেটে ফেলাকে কেন্দ্র করে শাশুরী মনিরা ও স্বামী পরিত্যাক্ত ননদ সুমি মর্জিনার সাথে ঝগড়া বিবাদে লিপ্ত হয়। এরই এক পর্যায়ে সুজন কাঠের লাঠি দ্বারা মর্জিনাকে মধ্য যুুগিয়ো কায়দায় বেধরক মারপিট করে গুরুত্বর আহত করে। এলাকাবাসী বিষয়টি মর্জিনার বাবার বাড়িতে জানালে মর্জিনার ভাই ও মা তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।
গত ৪দিন যাবত মর্জিনা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। কর্তব্যরত ডাক্তার এক্সরে রিপোর্ট দেখে জানান তার পায়ের হাড় ভেঙ্গেগেছে, উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুরে নেয়ার পরামর্শ প্রদান করেন। এ বিষয়ে বামুনিয়া ইউপি চেয়ারম্যান মোমিনুর রহমান জানান, এর আগের তাদের একাধীকবার শালিশ বৈঠক করে আপোষ মিমাংসা করা হয়েছে, তারা প্রায় মারধর করে। ইউপি সদস্য কুতুব উদ্দিন ও জাহাঙ্গীর আলম বলেন, আমরা মেম্বার হওয়ার পর থেকে তাদের বিচার শালিশ করতে করতে ক্লান্ত হয়ে গেছি। কিছুদিন ভালো থাকে আবার তারা আগের মতো হয়ে যায়। মর্জিনার ভাই আনোয়ার হোসেন জানান, বোন সুস্থ হয়ে আসার পরে তাদের বিরুদ্ধে আইনী পদক্ষেপ গ্রহন করবে। পাশন্ড স্বামীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবী করেন নির্যাতিতা মর্জিনা আক্তার।
কিউএনবি/আয়শা/১১ অগাস্ট ২০২৩,/বিকাল ৫:১৪