সোমবার, ০৭ জুলাই ২০২৫, ১২:৪৬ পূর্বাহ্ন

কোরবানির গোশত ও চামড়ার বিধান

Reporter Name
  • Update Time : বৃহস্পতিবার, ২৯ জুন, ২০২৩
  • ২৩৮ Time View

ডেস্ক নিউজ : কোরবানি একটি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। মহান আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য আত্মত্যাগের এক অনন্য উপমা। কোরবানির দিনসমূহে প্রত্যেক সাহেবে নেসাবের ওপর কোরবানি করা ওয়াজিব। কোরবানির মাধ্যমে পার্থিব ও পরকালীন প্রভূত কল্যাণ অর্জিত হয়। সেই সঙ্গে আল্লাহভীতি অর্জন, অসহায়-দরিদ্রদের সহায়তা ও আত্মত্যাগ প্রকাশের সুযোগ আসে কোরবানির মৌসুমে।

ইসলামের অন্য ইবাদতগুলোর মতো কোরবানি সম্পর্কিত প্রয়োজনীয় বিধিনিষেধ ও মাসয়ালা জেনে নেওয়া কোরবানিদাতার একান্ত কর্তব্য। অন্যথা কোরবানির প্রকৃত পুরস্কার-প্রাপ্তি ও কল্যাণ থেকে বঞ্চিত হতে হবে।

কোরবানির গোশত ও চামড়ার বিধান

– কোরবানির গোশত বণ্টনের শরিয়তসম্মত উত্তম পন্থা হলো কোরবানির গোশত তিন ভাগে ভাগ করে এক ভাগ গরিব-মিসকিনকে দেওয়া, এক ভাগ আত্মীয়স্বজনকে দেওয়া এবং আর এক ভাগ নিজের জন্য রেখে দেওয়া। তবে এ ব্যাপারে কোরবানিদাতা সম্পূর্ণ স্বাধীনতা রয়েছে। ইচ্ছা হলে কোরবানির সব গোশত নিজে ও পরিবারকে নিয়ে খেতে পারে। আবার চাইলে আত্মীয়স্বজন ও গরিব-মিসকিনকেও দিতে পারবে। ফাতোয়ায়ে মাহমুদিয়া : ১১/৩৪৩

– ইদানীং কোরবানির গোশত সংগ্রহ ও বিতরণের সামাজিক এক রীতি লক্ষ করা যাচ্ছে। যেখানে প্রত্যেক কোরবানিদাতা গরিবের জন্য নির্ধারিত অংশটা পাড়া বা মহল্লার নির্দিষ্ট এক স্থানে পৌঁছে দেয়। পরে সংগৃহীত গোশত মাথাপিছু হারে সমাজের মানুষের মাঝে বিতরণ করা হয়। গোশত বণ্টনের এ পদ্ধতি জায়েজ, যদি তাতে মান্নতের গোশত মিশ্রিত না থাকে। কেননা মান্নতের গোশত গরিবের হক এবং তা শুধু তাদের মাঝেই বণ্টন করতে হবে। আদ দুুররুল মুহতার : ৬/৩৬৭

– কোরবানির গোশত প্রস্তুত এবং এ সংক্রান্ত অন্যান্য কাজে নিয়োজিত ব্যক্তিকে পারিশ্রমিক হিসেবে কোরবানি পশুর কোনো অংশ দেওয়া যাবে না। হজরত আলি (রা.) থেকে বর্ণিত, হজরত রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে তার কোরবানির উটগুলোর নিকট অবস্থান করতে বলেন। তিনি তাকে উটের সব গোশত, চামড়া ও জিন (প্রাণীর পরিধেয় পোশাক) মিসকিনদের মাঝে বিতরণের নির্দেশ দেন এবং তা থেকে কসাইকে পারিশ্রমিক হিসেবে কিছু দিতে নিষেধ করেন। সহিহ মুসলিম : ১৩১৭

– কোরবানিদাতা কোরবানির চামড়া নিজ কাজে ব্যবহার করতে পারবে। তবে চামড়া বিক্রি করে দিলে তার মূল্য জাকাত খাওয়ার উপযুক্ত গরিব-মিসকিনদের সদকা করে দেওয়া জরুরি। কোনো মসজিদ-মাদ্রাসার নির্মাণ বা উন্নয়নমূলক কোনো কাজে ওই চামড়ার মূল্য ব্যয় করা জায়েজ নেই। আহসানুল ফাতোয়া : ৭/৫৩১

 

 

কিউএনবি/আয়শা/২৯ জুন ২০২৩,/সন্ধ্যা ৬:০৮

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

আর্কাইভস

July 2025
M T W T F S S
1234567
891011121314
15161718192021
22232425262728
2930  
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৫-২০২৩
IT & Technical Supported By:BiswaJit