স্টাফ রিপোর্টার,মনিরামপুর(যশোর) : যশোরের মনিরামপুরে যাত্রীবাহী বাসের চাপায় পিষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলেই দুই ব্যক্তি নিহত এবং তিন ব্যক্তি আহত হয়। আহতদের উদ্ধারের পর উপজেলা স্বাস্থ কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। রোববার দুপুর দুইটার দিকে পৌরশহরের মনিরামপুর সরকারি কলেজের দক্ষিণপাশে এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ বাসসহ চালক আবদুল গনি মিয়াকে আটক করে। নিহতরা হলেন মনিরামপুর উপজেলার জয়পুর গ্রামের মৃত আবুল খায়ের দফাদারের ছেলে নাজমুল হোসেন এবং গাইবান্ধা জেলার সাঘাট উপজেলার আব্দুল্লাহপাড়া গ্রামের রাজা মিয়ার ছেলে রতন মিয়া।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ জানায়, রোববার দুপুর দুইটার দিকে মনিরামপুর পৌরশহর থেকে রতনসহ কয়েকজন যাত্রী একটি ভ্যানযোগে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা হয়। পথিমধ্যে পৌরশহরের মনিরামপুর সরকারি কলেজের পাশে পৌছলে পিছন থেকে আসা যশোরগামী যাত্রীবাহী বাস(ঢাকা মেট্রো- জ-১১-১৩১৪) ওভারটেকিং করার সময় ভ্যানটিকে চাপা দেয়। এ সময় বাসের চাকায় পিষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলেই নিহত হয় রতন এবং আহত হয় ভ্যানের তিন যাত্রী। চাপা দিয়ে দ্রুত পালিয়ে যাওয়ার সময় সামনে থেকে পথচারী নাজমুল হোসেন দুই হাত উচু করে বাসটি থামানোর চেষ্টা করে।
অভিযোগ রয়েছে এ সময় বাসটি তাকেও চাপা দিয়ে পালিয়ে যায়। ফলে বাসের চাকায় পিষ্ট হয়ে নাজমুলেরও মৃত্যু হয়। এ দিকে মোবাইল ফোনে খবর পেয়ে বেগারীতলা বাজারের পাশে এলাকাবাসী রাস্তায় বেরিকেড দিয়ে চালক আবদুল গনিসহ ঘাতক বাসটি আটক করে। পরে পুলিশ গিয়ে সেখান থকে বাসসহ চালককে থানায় নিয়ে আসে। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা আহত তিনজনকে উদ্ধারের পর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভতি করে। এরা হলো উপজেলার গোপালপুর এলাকার সোয়াইব হোসেন, জালঝাড়া এলাকার ইব্রাহিম হোসেন ও গাইবান্ধার বাবুল আকতার। তবে এর মধ্যে বাবুল আকতারের অবস্থার অবনতি হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। মনিরামপুর থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) বাবলুর রহমান খান জানান, মরদেহ দুইটি উদ্ধার করা হয়েছে। আটক করা হয়েছে বাসসহ চালক আবদুল গনি মিয়াকে। সন্ধ্যায় এ রিপোর্ট লেখার সময় থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছিল।
কিউএনবি/অনিমা/০৬ জুলাই ২০২৫,/রাত ৮:৪১