ডেস্ক নিউজ : কিছুদিন পরই কোরবানির পশু কেনাবেচা শুরু হবে। তাই বাজার ধরতে গরুর যত্ন নিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন ঝিনাইদহের খামারিরা। তারা বলছেন, জেলায় অন্যান্য বছর বিদেশি ও শংকর জাতের গরু থাকলেও দাম ভালো না পেয়ে এবার দেশি জাতের গরু পালন করছেন। এক্ষেত্রে গরুকে খাবার হিসেবে কাঁচা ঘাস, খৈল, ভুট্টা এবং ধানের কুড়াসহ প্রাকৃতিক খাবার খাওয়ানো হচ্ছে। তবে পশুখাদ্যের দাম বেশি হওয়ায় গরু পালনে খরচ অনেক বেড়েছে।
এক খামারি বলেন, কোরবানির বাজার ধরবো, তাই এখন থেকেই গরুর পরিচর্যা করছি। কিন্তু গরুর ও গরুর খাবারের দাম বেশি। তাছাড়া বাজারে তো সব কিছুর দামই বেশি। এতে করে খামারিদের জন্য ব্যবসা চালিয়ে যাওয়া বেশ কষ্টসাধ্য হয়ে উঠেছে। তাই ঈদের আগে দেশের বাজারে ভারতীয় গরু প্রবেশে কঠোর নজরদারির দাবি করে আরেকজন খামারি বলেন, যদি সরকার কোরবানির পশু আমদানি করে তাহলে শুধু আমি না, সারা দেশের পশু ব্যবসায়ীরা বিরাট লোকসানের মুখে পড়বে।
এদিকে স্বাস্থ্যসম্মতভাবে পশু পালন ও বাজারজাতে খামারিদের নানা পরামর্শ দেয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ঝিনাইদহের জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মনোজিৎ কুমার সরকার। তিনি বলেন, আমরা গরুকে দানাদার খাদ্য ও কাঁচা ঘাস খাওয়ানোর পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছি। পাশাপাশি গরুকে ভিটামিনও খাওয়াতে বলছি খামারিদের। তবে কারও কথায় গরুকে নিষিদ্ধ কোনো কেমিক্যাল ও হরমোনের কোনো ওষুধ খাওয়াতে কঠোরভাবে নিষেধ করছি।
তাছাড়া গরুকে ভালো খাদ্য কীভাবে খাওয়াবে ও কীভাবে মান সম্মত মাংস উৎপাদন করবে, সে বিষয়ে আমরা খামারিদের পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছি। জেলা প্রাণিসম্পদ অফিসের তথ্যমতে, চলতি বছর জেলায় ২ লাখ ৪ হাজার ৯২৮টি কোরবানির পশু প্রস্তুত করা হচ্ছে। এর মধ্যে জেলার চাহিদা মিটিয়ে বাড়তি প্রায় ৬০ হাজার পশু ঢাকা, চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় পাঠানো হবে।
কিউএনবি/আয়শা/২৫ মে ২০২৩,/বিকাল ৪:৪৫
সম্পর্কিত সকল খবর পড়ুন..