বৃহস্পতিবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৫, ০২:১৪ অপরাহ্ন

ক্ষমতায় যাওয়া দূরের কথা, বিএনপি নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে : ১৪ দল

Reporter Name
  • Update Time : সোমবার, ১৯ ডিসেম্বর, ২০২২
  • ১৩৯ Time View

ডেস্ক নিউজ : ‘বিএনপির ২৭ দফা দেশকে অসাংবিধানিক ধারায় নিয়ে যাওয়ার চেষ্টার বহিঃপ্রকাশ। তারা দেশের নির্বাচন পদ্ধতিকে অস্বাভাবিক করতে চায়’। এমন মন্তব্য করেছেন ১৪ দলের শরিকদলগুলোর কেন্দ্রীয় নীতি নির্ধারণী পর্যায়ের নেতারা। আজ সোমবার ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের শিখা চিরন্তনে ১৪ দলের আলোচনাসভায় এমন মন্তব্য করেন তারা।

মহান বিজয় দিবস ও শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভাটির আয়োজন করা হয়। আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন ১৪ দলের সমন্বয়ক ও মুখপাত্র আমির হোসেন আমু। সভাপতির বক্তব্যে আমির হোসেন আমু বলেন, ১০ ডিসেম্বর মুচলেকা দিয়ে গোলাপবাগে সমাবেশ করার মধ্য দিয়ে বিএনপি আঁস্তাকুড়ে নিক্ষিপ্ত হয়েছে। মানুষকে বিজয় উৎসব থেকে দূরে সরিয়ে দেওয়ার জন্য ডিসেম্বর মাসকে তারা আন্দোলন করার জন্য বেছে নিয়েছে। তারা ষড়যন্ত্র করছে, এই দেশে কোনো ষড়যন্ত্র স্থান নেই।

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বলেন, বিজয়ের মাসে ষড়যন্ত্র হতে দেব না। ষড়যন্ত্র করলে মোকাবেলা রাজপথে হবে। বিএনপির কার্যালয়ে বোমার কারখানা পাওয়া গেছে। তারা সরকারকে নাজেহাল করতে চেয়েছিল। আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর আরেক সদস্য কামরুল ইসলাম বলেন, বিএনপি সংবিধান মানে না। দেশের সকল অর্জন নস্যাৎ করতে চায়। যারা একাত্তরে আমাদের মা-বোনদের নির্যাতন করেছিল সেই একই শক্তি এবং একই বিদেশি শক্তি বাংলাদেশের অস্তিত্বের বিরুদ্ধে আবার একসাথে মাঠে নেমেছে। তারা অসাংবিধানিক সরকার আনতে চায়। এই অপশক্তির বিরুদ্ধে আমাদের সবাইকে ইস্পাত দৃঢ় ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।

বিএনপির উদ্দেশে জাতীয় পার্টি-জেপির সাধারণ সম্পাদক শেখ শহিদুল ইসলাম বলেন, কোনো দিন এক দফা, কোনো দিন ২৭ দফা দিচ্ছেন। এসব কাজ থেকে বিরত থেকে আসুন গণতান্ত্রিক, সাংবিধানিক ধারাকে অব্যাহত রাখি। আপনারা যা চান আমরাও তাই চাই। আপনারা চান অবাধ নির্বাচন, আমরাও চাই অবাধ নির্বাচন। আপনারা চান অন্তর্ভূক্তিমূলক নির্বাচন, আমরাও চাই। আপনারা নির্বাচনে আসলেই তো অন্তর্ভূক্তিমূলক নির্বাচন হবে।

ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা বলেন, মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি যদি ঐক্যবদ্ধ হয় বিএনপি ক্ষমতায় যাওয়া তো দূরের কথা বাংলাদেশ থেকে নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে। তারা নাকি সংবিধান পরিবর্তনের জন্য কমিশন গঠন করবে। সংবিধান বাতিল করার জন্য স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি রাস্তায় নেমেছে। এই সংবিধান ৩০ লাখ শহিদের রক্তের বিনিময়ে রচিত হয়েছে। অসাংবিধানিক উপায়ে সংবিধান পরিবর্তনের সুযোগ নেই।

জাসদ সাধারণ সম্পাদক শিরীন আখতার বলেন, বিএনপি দেশে অসাংবিধানিক ধারা তৈরি করতে চায়, নির্বাচন পদ্ধতিকে অস্বাভাবিক করতে চায়। কোনো আপস ফর্মূলা নয়, অসাংবিধানিক দাবি মেনে নেব না। বিএনপি-জামায়াতকে রুখে দাঁড়াবার জন্য ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। বাংলার মাটিতে পাকিস্তানি প্রেতাত্মাদের ঠাঁই হবে না। শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে উন্নয়নশীল রাষ্ট্রে পরিণত করেছেন। বিএনপি সেই উন্নয়ন গুড়েবালি করে দেওয়ার স্বপ্ন দেখছে।

সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়া বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশের যে উন্নয়ন হয়েছে তা ধরে রাখতে হলে আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। বিএনপির নেতৃত্বে যেসব প্রগতিশীল ভিন্ন পথে চলছেন তার ফল ভালো হবে না।

বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান নজিবুল বশর মাইজভাণ্ডারী বলেন, বিএনপিকে সরকার যথেষ্ট ছাড় দিয়েছে। আর এক বিন্দুও কোথাও দাঁড়াতে দেওয়া যাবে না। কারণ এই বিষবাষ্প যেখানে যাবে ধ্বংস করে দেবে।

ন্যাপের সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল হোসেন বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় যাতে দেশ পরিচালিত না হতে পারে সেজন্য বিএনপি পরিকল্পিতভাবে মাঠে নেমেছে। বিএনপি এবং জামায়াতের সঙ্গে যারা আছেন তাদের বলছি, যদি সংঘাত অনিবার্য করে তোলেন তাহলে পরিণাম ভালো হবে না।

আলোচনাসভায় বক্তব্য রাখেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফী, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস প্রমুখ।

 

 

কিউএনবি/আয়শা/১৯ ডিসেম্বর ২০২২,খ্রিস্টাব্দ/রাত ৯:১৯

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

আর্কাইভস

October 2025
M T W T F S S
 123456
78910111213
14151617181920
21222324252627
282930  
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৫-২০২৩
IT & Technical Supported By:BiswaJit