খোরশেদ আলম বাবুল শরীয়তপুর প্রতিনিধি : পদ্মা সেতু ও শেখ রাসেল সেনানীবাসের জন্য একাবার মোল্যার সমুদয় জমিজমা অধিগ্রহন করে নেয় সরকার। সেই থেকে পরিবারটি ভাসমান হয়ে পড়ে। জাজিরা উপজেলার ১০০ নং দিয়ারা নাওডোবা মৌজায় নড়িয়া উপজেলার কলুকাঠি গ্রামের আলী আহসান বেপারীর ক্রয়কৃত ১৭ শতাংশ জমিতে বাৎসরিক খাজনা চুক্তি করে সেই জমিতে স্ত্রী সন্তানদের নিয়ে বসবাস শুরু করে একাবর মোল্যা।
কিছুদিন ধরে পশ্চিম নাওডোবা জৈনদ্দিন মাদবর কান্দি গ্রামের ছোরহাব ফকির, হাকিম খান, আলমগীর ফকির একজোট হয়ে একাবর মোল্যার কাছে চাঁদা দাবী করে আসছে। ৫০ হাজার টাকা চাঁদা না পেলে জমি থেকে একাবর মোল্যার বসত ঘর ভেঙ্গে দিবে বলে হুমকি দিয়ে আসছে চাঁদাবাজরা। এই বিষয়ে একাবর মোল্যার স্ত্রী লিচু বেগম আইনী সহায়তা চেয়ে জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনে আবেদন করেছেন।
লিচু বেগম জানায়, পদ্মা সেতুর জন্য জমি অধিগ্রহণ করায় আমরা গৃহহীন হয়ে পড়ি। পরে আলী আহসান বেপারীর একখন্ড জমি খালি পড়ে আছে দেখে তার সাথে যোগাযোগ করি। সময় উপযোগী খাজনা দিয়ে সেই জমিতে ঘর বাড়ি নির্মাণ করে চার বছর ধরে বসবাস করছি। প্রতিদিনই আসামীরা এসে আমার ও আমার স্বামীর কাছে চাঁদা চায়। ইতোমধ্যে কিছু টাকাও দিয়েছি। এতে তারা খুশি না। আরো টাকা চায়। তাই জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগ করি।
তার পরেও ৪ নভেম্বর শুক্রবার দুপুরে আলমগীর ফকির এসে আমাদের ঘর ও টিউবওয়েল সরিয়ে নিতে বলে। আমি তার প্রতিবাদ করায় আমাকে অকথ্য ভাষায় গালাগল দেয়। তারা যাওয়ার সময় স্থানীয় আব্দুল আজিজ ফকির ও রাজ্জাক খলিফার উপস্থিতিতে বলে গেছেন, এক দিনের মধ্যে ঘর সরিয়ে না নিলে তারাই ঘর ভেঙ্গে ফেলবে। আসামীরা এমন অবিচার চালালে আমরা কোথায় যাবো। এই বিষয়ে আলমগীর ফকির বলে, এসব আমার দাদার সম্পত্তি। এই সম্পত্তিতে আমরা ঘর তুলব। তাই তাদের ঘর সরিয়ে নিতে বলেছি। আমার দাদা এই দাগ থেকে কিছু জমি বিক্রি করেছে। জমি ক্রেতাকে অন্য জায়গায় জমি দিব। কথা না শুনলে ঘর ভেঙ্গে দেওয়া হবে।
কিউএনবি/আয়শা/০৪ নভেম্বর ২০২২,খ্রিস্টাব্দ/রাত ৮:১৪