শনিবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৫, ০২:০২ পূর্বাহ্ন

স্ত্রীকে হত্যা করে ফাঁসির দণ্ড নিয়ে ১৬ বছর পলাতক, অতঃপর…

Reporter Name
  • Update Time : বুধবার, ৭ সেপ্টেম্বর, ২০২২
  • ২০১ Time View

ডেস্কনিউজঃ যৌতুক না পেয়ে ১৬ বছর আগে স্ত্রীকে হত্যা করেছিলেন উজ্জ্বল প্রামাণিক (৪০)। ফেরারি জীবনে নতুন সংসার পেতেছিলেন। সেই সংসারে রয়েছে তারা দুটি সন্তানও। কিন্তু হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডের রায় হওয়ার পর গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে মঙ্গলবার রাতে ঢাকার আশুলিয়া থানা এলাকায় র‌্যাব-৩ এর হাতে ধরা পড়েছেন তিনি।

তাকের গ্রেফতারের পর বুধবার দুপুরে কারওয়ানবাজারে র‌্যাব মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেন র‌্যাব-৩ এর পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আরিফ মহিউদ্দিন আহমেদ।

তিনি জানান, বগুড়া সদর থানাধীন কৈচড় দক্ষিণপাড়া গ্রামের বাসিন্দা উজ্জ্বল প্রামাণিকের সঙ্গে ২০০৬ সালের জুন মাসে ভিকটিম আলো বেগমের পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। বিয়ের দিন উজ্জ্বল এবং তার পরিবারকে নগদ ৩০ হাজার টাকা যৌতুক দেওয়া হয়।

‘বিয়ের পর বিদেশ যাওয়ার জন্য স্ত্রীর কাছে আরও ৫০ হাজার টাকা দাবি করেন উজ্জ্বল। পারিবারিক সালিশে যৌতুক বাবদ আরও ৫০ হাজার টাকা দিতে বিভিন্নভাবে চাপ প্রয়োগ করা হয়। টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে উজ্জ্বল প্রামাণিক আলো বেগমকে তালাক দেবে বলে ভয়ভীতি দেখাতে থাকে। উজ্জ্বল এবং তার পরিবার ভিকটিম আলো বেগমকে বিভিন্নভাবে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালায়।’

লেফটেন্যান্ট কর্নেল আরিফ মহিউদ্দিন আহমেদ জানান, ২০০৬ সালের ১ আগস্ট উজ্জ্বলের ভগ্নিপতি নাজমুল হোসেন লাবু ভিকটিম আলো বেগমের পরিবারকে ফোনে জানান, আলো বেগম গুরুতর অসুস্থ। এরপর ভিকটিমের পরিবারের লোকজন উজ্জ্বলের বাড়িতে গিয়ে ঘরের মেঝেতে আলো বেগমের লাশ দেখতে পান।

তিনি জানান, এ ঘটনায় উজ্জ্বল প্রামাণিককে প্রধান আসামি করে ৫ জনের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের হয়। আসামি উজ্জ্বল প্রামাণিকের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় চলতি বছরের গত ২৪ জুলাই মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেন আদালত। অন্য ৪ আসামিকে খালাস দেওয়া হয়।

লেফটেন্যান্ট কর্নেল আরিফ মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, স্ত্রীকে হত্যার পর উজ্জ্বল প্রামাণিক তার মা আলেয়া বেওয়াকে নিয়ে গ্রাম ছেড়ে পালিয়ে গাজীপুর চৌরাস্তা এলাকায় এসে পরিচয় গোপন রেখে বসবাস শুরু করেন। ছয় মাস পর নাছিমা খাতুন নামে একজনকে বিয়ে করে গাজীপুরে বসবাস করে আসছিলেন।তাদের ১০ বছর এবং ৩ বছর বয়সী ২টি পুত্র সন্তান রয়েছে। উজ্জ্বল পালিয়ে আসার পর থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত বগুড়ায় নিজ বাড়ি এবং তার আত্মীয়-স্বজনের সঙ্গে সব ধরনের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রেখে গাজীপুরে আত্মগোপনে ছিলেন।

‘কিছুদিন আগে তিনি এক আত্মীয়ের মাধ্যমে জানতে পারেন তার মৃত্যুদণ্ডের রায় হয়েছে। এরপর থেকে তিনি আশুলিয়ায় সপরিবারে একটি ভাড়া বাসায় আত্মগোপন করে বসবাস শুরু করেন। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে দীর্ঘ ১৬ বছর পর আশুলিয়ায় বিশেষ অভিযান চালিয়ে উজ্জ্বলকে গ্রেফতার করা হয়।’

কিউএনবি/বিপুল/০৭.০৯.২০২২/ রাত ৮.১৩

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

আর্কাইভস

October 2025
M T W T F S S
 123456
78910111213
14151617181920
21222324252627
282930  
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৫-২০২৩
IT & Technical Supported By:BiswaJit