ডেস্কনিউজঃ সন্ত্রাসী হামলায় জাপানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে’র নিহত হওয়ার ঘটনায় দেশটির ঢাকাস্থ দূতাবাসে শ্রদ্ধা জানিয়েছে বিএনপি।
বুধবার (১৩ জুলাই) বিকেলে বারিধারা কূটনৈতিক এলাকায় দূতাবাস সড়কে জাপান দূতাবাসে দলের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা জানান বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খরু মাহমুদ চৌধুরী ও সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ।
জাপান দূতাবাসে শোক বইতে স্বাক্ষর করে আমির খসরু বলেন, ‘শিনজো আবে বাংলাদেশের একজন ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছিলেন এবং জাপান-বাংলাদেশ সম্পর্ক গড়ে ওঠার পেছনে উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের পেছনে তার অনেক অবদান আছে। বিশেষ করে বেগম খালেদা জিয়ার সাথে তিনি অনেক কাজ করেছেন। বিএনপির আমলে বাংলাদেশের অনেক বড় বড় উন্নয়নে জাপানের ভূমিকা ছিল এবং পদ্মা সেতুর ব্যাপারেও জাপানের ফাইনেন্সিং কিন্তু প্রস্তুত ছিল। পরবর্তীতে সেটা বাতিল হয়ে গিয়েছিল। তারেক রহমানেরও সুযোগ হয়েছে আবের সাথে কথা বলার। বাংলাদেশ-জাপান উন্নয়নে তার অনেক বড় ভূমিকা ছিল এবং আমারা আশা করি সেটা অব্যাহত থাকবে জাপানের সাথে।’
তিনি উল্লেখ করেন, আমরা কন্ডোলেন্স বইতে সই করলাম। আমাদের কন্ডোলেন্সের ওপরে কিছু বক্তব্য লিখেছি। যেটা জাপান-বাংলাদেশের ওপরে এই সম্পর্ক যাতে অব্যাহত থাকে। জাপান কিন্তু বাংলাদেশের বাইলেট্রিয়ারি সবচেয়ে বড় ডোনার। জাপানের ভূমিকা অনেক বড় এবং শিনজো আবের ভূমিকা সেখানে অনেক বেশি ছিল।
সাবেক মন্ত্রী আমির খসরু বলেন, ‘আবে একজন আন্তর্জাতিক নেতা হিসেবে খুবই যোগ্য ছিলেন। দীর্ঘদিন ধরে রাজনীতিতে ছিলেন, প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। রাজনীতিতে এতো দীর্ঘদিন অনেকেই থাকতে পারে না । জাপানের মানুষের ভালোবাসা নিয়ে এবং তার কর্মকাণ্ডের জন্য অনেকদিন ধরে জাপানের নেতৃত্ব দিয়েছেন এবং বাংলাদেশ জাপান সম্পর্কের ক্ষেত্রে তার যথেষ্ট ভূমিকা রয়েছে।’
খসরু উল্লেখ করেন, পদ্মা ব্রিজের বিষয়টা বেগম খালেদা জিয়া যখন জাপান যান, পদ্মা ব্রিজের ফাইন্যান্সের ব্যাপারটা ঐক্যমত্যে পৌঁছেছিল এবং সেটা হয়েও যেতো। বিএনপি যদি অব্যাহতভাবে ক্ষমতায় থাকতো তাহলে ২০১৩ সালের ভিতরে পদ্মা ব্রিজ হয়ে যেত। সেখানে একটা বড় অর্থায়ন হয়েছে এবং সেখানে আবের ভালো ভূমিকা ছিল।
বিপুল/ ১৩.০৭.২০২২/ রাত ১০.০৫