এসময় সহপাঠীদের স্মৃতিচারণ, দীর্ঘ ৩৫ বছর পরে একত্রিত হওয়ার অনুভূতি, অনুষ্ঠানের প্রতিক্রিয়া, স্কুল জীবনের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র স্মরণীয় ঘটনা, জীনের ছোটো ছোটো গল্প, কবিতা আবৃত্তি, কৌতুক বলা, গান ও নিজেদের পরিচয় তুলেধরা সহ নানা বিষয়ে সংক্ষিপ্ত আলোচনা করেন ছতুরা চান্দপুর স্কুলের ১৯৮৭ ব্যাচের সকল বন্ধুরা। সুদীর্ঘ ৩৫বছর পর সকলে একত্রিত হতে পেরে অনেকেই আবেগে আপ্লুত হয়ে পড়েন। এলাকার শিক্ষা সম্প্রসারণের লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠানটি কুতুবুল এরশাদ শাহ্সূফী প্রফেসর হযরত আব্দুল খালেক রহমতুল্লাহি আলাইহি ১৯৪৬ সালে প্রতিষ্ঠা করেন। স্বনামধন্য এই প্রতিষ্ঠানে পাঠদান ও শিক্ষা লাভ করে খুশি সকল শিক্ষক ও ছাত্র ছাত্রীরা।
অনুষ্ঠানের শুরুতেই প্রয়াত সহপাঠী ও শিক্ষকদের স্মরণে ফাতেহা পাঠ ও তাদের আত্মার মাগফেরাত কামনায় বিশেষ মোনাজাত পরিচালনা করা হয়। অনুষ্ঠানে তৎকালীন বিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষক, ছাত্র-ছাত্রী ও সহপাঠীদের নিয়ে এক অন্যরকম মিলনমেলায় পরিণত হয়। এধরনের ঈদ পরবর্তী পূনর্মিলনী অনুষ্ঠান প্রতিবছর হওয়ার আশা ব্যক্ত করেন উপস্থিত সহপাঠীরা চমৎকার আয়োজ, গুণগত মানের মধ্যাহ্নভোজ, চা-চক্র, শেষ বিকেলের মুখরোচক খাবার পরিবেশনা সহ সকল প্রকার আয়োজনে যারা নিরলস পরিশ্রম করেছেন তাদেরকে ধন্যবাদ জানান উপস্থিত সকল সহপাঠীরা। অনুষ্ঠান শেষে বিদ্যালয়ের ১৯৮৭ ব্যাচের শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে অনুষ্ঠানে উপস্থিত শিক্ষকদের হাতে বিশেষ উপহার তুলে দেওয়া হয়। পরে অনুষ্ঠানের সভাপতির সমাপনী বক্তব্যের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের পরিসমাপ্তি ঘটে।
কিউএনবি/অনিমা/১৩ জুলাই ২০২২, খ্রিস্টাব্দ/বিকাল ৪:১৮