ডেস্ক নিউজ : ‘শোষণহীন সমাজ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে আমরা প্রগতির যাত্রি’- এই শিরোনামের ব্যানারকে সামনে রেখে সোমবার খুলনা প্রেস ক্লাবের লিয়াকত আলী মিলনায়তনে প্রিয়জন মিলনমেলা অনুষ্ঠিত হয়। ছাত্র ইউনিয়নের প্রাক্তন ও বর্তমান নেতা কর্মী, সমর্থক শুভানুধ্যায়ী, সিপিবির নেতা কর্মী, শ্রমজীবী, পেশাজীবীরা অংশ নেন।
মিলনমেলায় বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি’র (সিপিবি) কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের সাবেক কেন্দ্রীয় ও খুলনা জেলা সভাপতি রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেন, ব্রিটিশ বিরোধী সংগ্রাম, মহান মুক্তিযুদ্ধের সংগ্রাম ছিল সাধারণ মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠাও শোষণ মু্ক্তির লক্ষ্য। অথচ এই অধিকার এখনো প্রতিষ্ঠা করা যায়নি। যারাই ক্ষমতায় গেছে, তারাই সাধারণ মানুষের স্বার্থ উপেক্ষা করেছে। অনেক দিকে অগ্রগতি হলেও সব মানুষ মর্যাদা নিয়ে বাঁচতে পারছে না। মর্যাদা নিয়ে সবমানুষের বাসযোগ্য দেশ গড়তে শোষণমুক্ত সমাজ গড়তে হবে।
তিনি বলেন, এই শোষণমুক্ত সমাজ গড়তে যারা বিভিন্ন ভাবে অবদান রেখেছেন তারা স্মরণীয় হয়ে থাকবেন। এই সংগ্রাম অগ্রসর করতে যার যার অবস্থান থেকে অবদান রাখতে ও ঐক্যবদ্ধ হয়ে সাধারণ মানুষকে সচেতন ও সংগঠিত করার আহ্বান জানান রুহিন হোসেন প্রিন্স। প্রিন্স বলেন, যৌবনের শুরুতে যে ব্যবস্থা বদলের স্বপ্ন নিয়ে আমরা রাজপথে ছিলাম, আজ সেই স্বপ্ন পূরণ আরো বেশি প্রাসংগিক হয়ে উঠেছে। এজন্য আমাদের সক্রিয় অংশগ্রহণে বাড়াতে হবে।
মিলনমেলার শুরুতে প্রয়াত নেতা কমরেড রতন সেন, শেখ মুনিরুজ্জামান, ডা. মহবুবুর রহমান, নূরুজ্জামান বাচ্চু, অ্যাড. ফিরোজ আহমেদ, অধ্যাপক অচিন্ত্য বিশ্বাস, সাংবাদিক মানিক চন্দ্র সাহা, মুক্তিযুদ্ধে শহীদ রওনাকুল ইসলাম বাবর, এটিএম খালিদ, নূরুল ইসলাম, স ম লিয়াকত হোসেন, ডা. হোসেন শহীদ ইকবাল, মাহবুবুল আলম বুলবুল, হাবিবুর রহমান, সুব্রত সিকদার বাপী, আজাহার হোসেনসহ প্রয়াত নেতা কর্মীদের স্মরণ করা হয়।
মিলনমেলায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন ছাত্র ইউনিয়ন খুলনা জেলার সাবেক সভাপতি অসীম আনন্দ দাস ও ডা. এম ফরিদুজ্জামান। মোস্তাফিজুর রহমান রাসেল, মাজাহার শান্ত ও সৌরভ সমাদ্দারের উপস্থাপনায় সাংস্কৃতিক ইউনিয়ন ও উপস্থিতদের অনেকে সংগীত পরিবেশন করেন।
মিলন মেলায় সিপিবি খুলনা জেলা সভাপতি ডা. মনোজ দাস, সাধারণ সম্পাদক এস এ রশিদসহ সাধারণ সম্পাদক শেখ আব্দুল হান্নান, শাহাদাৎ হোসেন, মিজানুর রহমান বাবু, অ্যাড. নিত্যানন্দ ঢালী, শ্রমিক নেতা দেলোয়ার হোসেন, ড.মনিরুল ইসলাম রিপন, মোজাম্মেল হক, অসীম বিশ্বাস, তপন ঘোষ, পূর্নেন্দু দে বুবাই, শফিকুর রহমান মন্টু, মাহফুজুর রহমান মুকুল, শ্রীবাস অধিকারী, গোলাম রব্বানী, প্রদীপ সাহা, হুমায়ূন কবির, শেখ সেলিম টিটো, ফরিদা জামান, শাহরিয়ার পারভীন কাকলি, নিয়াজ ফাতেমা সিদ্দিকী শিল্পী, দেবদুলাল বসু, সুব্রত কুন্ডু, আলমগীর হোসেন লাভলু, দেবব্রত রায়, মেজবাউল হক স্বপন, আসগর আলী, অ্যাড বাবুল হাওলাদার, মহেন্দ্র নাথ সেন, শুশান্ত দাস, শরিফুল ইসলাম,সুমনা সোমা, সিরাজুল ইসলাম, অশোক সরকার, প্রশান্ত মন্ডল, পশাশ দাস, শাহিনা আক্তার ছাত্র নেতা সৌরভ সৌমিত্র সহ ষাটের দশক থেকে শুরু করে বর্তমান সময়ের ছাত্র ইউনিয়নের কয়েক শত নেতা কর্মী, সমর্থক, শুভাকাঙ্ক্ষী উপস্থিত ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় অসাম্প্রদায়িক, গণতান্ত্রিক, শোষণমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার অঙ্গীকার ব্যক্ত করার মধ্যে দিয়ে মিলন মেলা শেষ হয়।
কিউএনবি/আয়শা/১২ জুলাই ২০২২, খ্রিস্টাব্দ/বিকাল ৩:৪৯