বনবিভাগ ও যৌথবাহিনীর অভিযানে মাটিরাঙ্গায় ৭টি তক্ষক সহ পাচারকারী আটক
Reporter Name
Update Time :
শনিবার, ২৫ জুন, ২০২২
১৬৬
Time View
জসীম উদ্দিন জয়নাল,পার্বত্যাঞ্চল প্রতিনিধি : পার্বত্য খাগড়াছড়ি জেলার মাটিরাঙ্গা বনবিভাগ ও যৌথবাহিনীর অভিযানে মাটিরাঙ্গা পৌরসভার রসুলপুর গ্রাম থেকে ৭টি তক্ষক সহ পাচারকারীকে আটক করেছেন বনবিভাগ।
শুক্রবার (২৪জুন ২০২২ইং) রাত ৮টার দিকে গোপন সংবাদের ভিওিতে বনবিভাগ ও যৌথবাহিনীর অভিযানে মাটিরাঙ্গা পৌরসভার রসুলপুর গ্রামের ইসলাক মীরের বসতবাড়ি থেকে তার ছেলে মো:রুবেল এর কাছথেকে ৭টি তক্ষক সহ তাকে আটক করা হয়েছে।
মাটিরাঙ্গা বনবিভাগের ফরেষ্টার মো: রোকনুজ্জামান আসামীর বিরুদ্ধে বন আইনে পিওআর বন মামলানং -১৯/ মাটি আব ২০২১-২০২২ খাগড়াছড়ি চীফজুড়িশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সেজুতি জান্নাত এর আদালতে মামলা দায়ের করেন। পরে বিজ্ঞ চীফজুড়িশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সেজুতি জান্নাত আসামীকে অবৈধ ভাবে তক্ষক ( বন্যপ্রানী)ধরা ও পাচারের অপচেষ্টা জনিত অপরাধে বন্যপ্রানী সংরক্ষন ও নিরাপওা আইন ২০১২এর ৩৪ (খ)ধারা মোতাবেক শাস্তিযোগ্য অপরাধের কারনে তক্ষক পাচারকারীকে জেলহাজতে প্রেরন করেন।
শুক্রবার রাত ৮টার দিকে , মাটিরাঙ্গা সেনা জোনের জোন এনসিও সার্জেন্ট মো:হানিফুর রহমান ও মাটিরাঙ্গা বনবিভাগের ফরেষ্টার মো:রোকনুজ্জামান ফরেষ্টার মো:জাহাঙ্গীর আলম, এর নেতৃত্বে বনবিভাগের ফরেষ্ট গার্ড বাগান মালিদের সাথে নিয়ে মাটিরাঙ্গা পৌরসভার রসুলপুর গ্রামের ইসলাক মীরের বসত বাড়ির থেকে তার ছেলে মো:রুবেল( ৪২)এর কাছ থেকে ৭টি তক্ষক উদ্ধার করা হয়।
মাটিরাঙ্গা বনবিভাগের কর্মকর্তা জিএম আলমগীর হোসেন বলেন, তক্ষক গিরগিটি প্রজাতির নির্বিষ নিরীহ বন্যপ্রাণী। সাধারণত পুরাতন বাড়ির ইটের দেয়াল, ফাঁক-ফোকর ও বয়স্ক গাছে এরা বসবাস করে। বর্তমানে তক্ষকের দাম ও তক্ষক দিয়ে তৈরি ওষুধ নিয়ে ব্যাপক গুজব ছড়ানো হয়েছে। আর গুজবে বিশ্বাস করে এক শ্রেণির লোক রাতারাতি ধনী হবার স্বপ্নে তক্ষক শিকারে নেমেছে। এসব অসাধু ব্যক্তির জন্য দেশের জীববৈচিত্র্য আজ হুমকির মুখে। প্রাণিগুলো রক্ষায় সবাইকে এগিয়ে আসার আহবান জানান তিনি।
জনস্মূখে খাগড়াছড়ি চীফ জুড়িশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সেজুতি জান্নাত ও বনবিভাগের উপস্থিতিতে উদ্ধারকৃত তক্ষক গুলো আনুষ্ঠানিকভাবে অবমুক্ত করা হয়েছে।