বৃহস্পতিবার, ১৯ জুন ২০২৫, ১০:৪৪ পূর্বাহ্ন

জালিয়াতি করে ‘নলকূপ’ দখল, সেচের অভাবে ২০০ একর জমি অনাবাদি

Reporter Name
  • Update Time : রবিবার, ২৭ ফেব্রুয়ারী, ২০২২
  • ৬৮ Time View

 

ডেস্ক নিউজ : বেনাপোলের খড়িডাঙ্গা গ্রামে নুরুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে সমিতির স্বাক্ষর জালিয়াতি করে ‘গভীর নলকূপ’ জোর করে দখলের অভিযোগ উঠেছে। এতে অর্ধশতাধিক কৃষক সেচ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন দীর্ঘদিন ধরে। গত ৭ মাস আগে নুরুল ইসলাম মারা যাওয়ার পর তার ভাই ও ছেলেরা নলকুপটি তাদের দখলে নিয়ে নেয়।  নলকূপ জোর করে দখল করায় সমিতির অন্যান্য সদস্যদের আটজন নুরুল ইসলামের বিরুদ্ধে মামলা করেন আদালতে। পরে আদালত মামলাটি যশোর পিবিআইকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য নির্দেশনা দেন।

সমিতির ৯ সদস্যের মধ্যে প্রথমে পাঁচজনকে ও পরে অপর তিনজনকে মালিকানা থেকে বাদ দেওয়া হয়। ১৯৮৪ সালে শার্শা উপজেলা বিএডিসির মাধ্যমে ৯ সদস্যের সমিতির নামে এই গভীর নলকূপটি শার্শার খড়িডাঙ্গা চাতরেল বিলে ২০০ একর জমিতে পানি সেচের জন্য স্থাপন করা হয়। গভীর নলকূপ স্থাপনের জন্য জমিদাতা খড়িডাঙ্গা গ্রামের মিজানুর রহমান বলেন, ১৯৮৪ সালে বিএডিসির মাধ্যমে সমিতি নামে গভীর নলকূপ স্থাপন করা হয়।  নলকূপের জন্য তিন শতাংশ জমি দান করি আমি। সমিতির সদস্য ছিলেন রিয়াজ উদ্দিন, রফিক উদ্দিন, এবাদত আলী, আব্দুল আজিজ, নুরুল ইসলাম, আহাজ্জত আলী, অহেদ আলী, হাবিবুর রহমান ও শাহাদৎ হোসেন। গভীর নলকূপটি চালানোর জন্য রিয়াজউদ্দিনের নামে বিদ্যুতের মিটার নেওয়া হয়। আর পরিচালনার দায়িত্ব দেওয়া হয় নুরুল ইসলামকে।  দুই বছর সমিতির কোনো হিসেব দেওয়া হয়নি।

নুরুল ইসলাম এরই মধ্যে গোপনে নলকূপের সব কাগজপত্র নিজের নামে করে নেন। সর্বশেষ ২০২০ সালে রিয়াজ উদ্দিনের নামে থাকা বিদ্যুতের মিটারটিও নিজের নামে করে নেন তিনি। বর্তমানে এই গভীর নলকূপটির মালিকানা নিয়ে যশোর আদালতে মামলা চলমান। বছর তিনেক আগে প্রতারণার শিকার ব্যক্তিরা এই মামলাটি করেন। নুরুল ইসলামের ভাই নুরুল হক জানান, সব কাগজপত্র আমাদের নামে। নলকূপের লোন পরিশোধ করতে না পারায় আমার ভাইকে জেলে যেতে হয়। পরে নিজেদের জমি বিক্রি করে আমরা লোন পরিশোধ করেছি। বর্তমানে এ বিষয়টি আদালতে মামলা চলমান, মামলায় যে রায় হবে সেটি আমরা মেনে নেব।

বেনাপোল ইউপি চেয়রম্যান বজলুর রহমান জানান, গভীর নলকূপটির মালিকানার বিষয়টি নিয়ে যখন সংকট সৃষ্টি হয়, তখন আমি উভয়কে নোটিশ করে ইউনিয়ন কার্যালয়ে নিয়ে আসি। প্রকৃতপক্ষে গভীর নলকূপটি দালিলিকভাবে মালিক নয়জন। যশোর পিবিআই পুলিশ সুপার রেশমা শারমিন বলেন, কাগজপত্র জালিয়াতি হয়েছে কিনা তা তদন্ত করার জন্য বিজ্ঞ আদালত আমাদেরকে নির্দেশনা দিয়েছেন। মামলাটি তদন্ত করা হচ্ছে। আশা করি দ্রুত তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে জমা দিতে সক্ষম হবো বলেও জানান তিনি।

 

 

কিউএনবি/আয়শা/২৭শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ খ্রিস্টাব্দ/সন্ধ্যা ৬:২৭

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

আর্কাইভস

June 2025
M T W T F S S
 12
3456789
10111213141516
17181920212223
24252627282930
31  
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৫-২০২৩
IT & Technical Supported By:BiswaJit