পরদিন বৃহস্পতিবার (১ মে) প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প হুমকি দিয়ে বলেন, ইরান থেকে যারা জ্বালানি কিনবে তাদের ওপরও নিষেধাজ্ঞা দেয়া হবে। এছাড়া মার্কিন প্রতিমন্ত্রী পিট হেগসেথ ইরানকে সতর্ক করে বলেন, হুতিদের সমর্থন করার জন্য তাদের পরিণতি ভোগ করতে হবে। তবে অভিযোগ নাকচ করে তেহরান বলছে, হুতিরা স্বাধীনভাবে কাজ করে।
 
মার্কিন নিষেধাজ্ঞা ও কর্মকর্তাদের হুমকি-ধামকির প্রতিক্রিয়ায় বৃহস্পতিবার (১ মে) ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের চতুর্থ দফার পরোক্ষ পরমাণু আলোচনা স্থগিত হয়। আলোচনার অন্যতম মধ্যস্থতাকারী ওমানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বদর বিন হামাদ আল-বুসাইদি বৃহস্পতিবার সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্স-এ এক ঘোষণায় জানান, ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সাথে চতুর্থ দফার আলোচনা স্থগিত করা হয়েছে।
 
আলোচনা কীভাবে এগোবে তা নিয়ে তেহরান ও ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের মধ্যে চলমান মতবিরোধের কারণে আলোচনা স্থগিত করা হয়েছে বলে ইরানের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা নিশ্চিত করেন। শনিবার (৩ মে) ইতালির রোমে এই চতুর্থ দফার আলোচনার হওয়ার কথা ছিল। রয়টার্সের প্রতিবেদন মতে, ঊর্ধ্বতন এক ইরানি কর্মকর্তা বলেছেন, ‘ওয়াশিংটনের অবস্থানের ওপর নির্ভর করে আলোচনার নতুন তারিখ ঠিক করা হবে।’
 
কারণ হিসেবে ওই কর্মকর্তা আলোচনার মধ্যে ইরানের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞার কথা উল্লেখ করেছেন। বলেছেন, ‘পরমাণু আলোচনা চলাকালে যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা কূটনৈতিক উপায়ে বিরোধ মেটাতে সহায়ক নয়। যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থানের ওপর নির্ভর করে, আলোচনার পরবর্তী দফার তারিখ জানানো হবে।’
 
ওমানের মধ্যস্থতায় ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে এখন পর্যন্ত তিন দফা আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। প্রথম দফার পরোক্ষ আলোচনাটি অনুষ্ঠিত হয় গত ১২ এপ্রিল ওমানের রাজধানী মাসকটে। পরের সপ্তাহে দ্বিতীয় দফার আলোচনা অনুষ্ঠিত হয় ইতালির রাজধানী রোমে। 
 
এরপর ২৬ এপ্রিল তৃতীয় দফার আলোচনা হয় মাসকটে। প্রত্যেকবারই উভয় পক্ষ আলোচনাকে ‘ইতিবাচক ও গঠনমূলক’ বলে উল্লেখ করে এবং তা পারমাণবিক চুক্তির দিকে এগোচ্ছে বলে জানায়।