মো. সাইদুল আনাম, কুষ্টিয়া জেলা প্রতিনিধি : কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে সন্ত্রাসীদের হাতে নিহত ফিলিপনগর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নঈনুদ্দিন সেন্টু’র ভাতিজা মো. জাহাঙ্গীর আলম (৫০) কে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা করেছে সন্ত্রাসীরা। শুক্রবার রাত সাড়ে ৭ টার দিকে উপজেলার ফিলিপনগর ইউনিয়নের খাদেম দারোগার মোড়ের বাজারে সন্ত্রাসী হামলার এ ঘটনা ঘটে।
গুরুতর আহত অবস্থায় জাহাঙ্গীর আলমকে উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। বর্তমানের তার অবস্থা আশংকাজনক বলে জানাগেছে। সেন্টু চেয়ারম্যান হত্যাসহ চরের মাঠে মহিষের বাথান সংক্রান্ত পূর্ব বিরোধের জের ধরে লালচাঁদ বাহিনীর সন্ত্রাসীরা এ হামলা চালায় বলে স্থানীয়রা জানায়। আহত জাহাঙ্গীর আলম ফিলিপনগর গ্রামের সেন্টু চেয়ারম্যানের চাচাত ভাই মৃত মঈনে সরকারের ছেলে।
এদিকে সন্ত্রাসী হামলার এ ঘটনার সাথে জড়িত ফিলিপনগর কলেজপাড়া গ্রামের গফুর সদ্দারের ছেলে আক্তারুল ইসলাম ও মোসলেম মোল্লার ছেলে আব্দুস সালাম নামের দুই জন আসামী কে শনিবার বিকেলে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, খাদেম দারোগার মোড়ের বাজারে একটি দোকানে বসে ছিল মহিষের বাথান মালিক জাহাঙ্গীর আলম। এসময় দুই মোটরসাইকেল যোগে আসা মুখ বাঁধা অবস্থায় ৫-৬ জন সশস্ত্র সন্ত্রাসী ঘটনাস্থল থেকে জাহাঙ্গীর আলমকে অস্ত্রের মুখে উঠিয়ে রাস্তার পাশে নেয়।
পরে তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে এলোপাতাড়িভাকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে মৃত ভেবে রাস্তার পাশে ফেলে রেখে ঘটনাস্থল থেকে নির্বিগ্নে চলে যায় সন্ত্রাসীরা। সন্ত্রাসীদের এমন তান্ডবে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়লে বাজারের লোকজন দোকান-পাট ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে পালিয়ে যায়। ফিল্মি কায়দায় সন্ত্রাসীরা ঘটনাস্থল ত্যাগ করার পর বাজারের আশপাশে অবস্থান করা লোকজন রাস্তার পাশে পড়ে থাকা জাহাঙ্গীর আলমকে রক্তাক্ত জখম অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়।
সন্ত্রাসীরা ধারাল অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়িভাবে কুপিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করতে জাহাঙ্গীরকে গুলিও করে বলে স্থানীয়রা জানায়। গুলির শব্দ শুনেছে এমনটিও জানায় তারা। সন্ত্রাসী হামলার বিষয়ে দৌলতপুর থানার ওসি মো. নাজমুল হুদা বলেন, হামলার ঘটনায় একটি মামলা হয়েছে। মামলা নং-২ তারিখ : ১/২/২৫ ইং। এ ঘটনায় এজাহার নামীয় দুই জন আসামী কে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্যান্য আসামীদের গ্রেফতার করতে অভিযান চলমান রয়েছে।
কিউএনবি/আয়শা/০১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫,/রাত ৯:৫০