রোজা পালন। রমজান মাসে রোজা রাখা তাকওয়া অর্জনের অন্যতম মাধ্যম। এটি আত্মনিয়ন্ত্রণ, ধৈর্য, এবং আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞতার শিক্ষা দেয়। জাকাত প্রদান এবং হজ পালন। জাকাত সম্পদশালীদের ওপর ফরজ এবং এটি সমাজে সম্পদ বণ্টনে ভারসাম্য আনে। আর হজ হলো আল্লাহর পথে আত্মসমর্পণের সর্বোচ্চ উদাহরণ।
নবীজি (সা.) বলেছেন, ফরজগুলো পালনের পাশাপাশি একজন ব্যক্তি যদি একটি বিশেষ গুণাবলীর ওপর আমল করে, তবে পৃথিবীর কোনো ক্ষতি তাকে স্পর্শ করতে পারবে না।
যে ৪ জিনিস রেখে গেছেন নবীজিসত্য কথা বলবে, আমানত রক্ষা করবে, উত্তম চরিত্র গড়ে তুলবে এবং হালাল উপার্জনের প্রতি যত্নবান হবে। (সুনানে তিরমিজি, হাদিস নং: ১২১৫)
সত্য কথা বলা
রসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন,
সত্যবাদিতা মানুষকে নেকির দিকে এবং নেকি জান্নাতের দিকে নিয়ে যায়। (সহীহ বুখারি, হাদিস নং: ৬০৯৪)
আমানত রক্ষা করা
একজন বিশ্বাসীর পরিচয় তার আমানতদারিতা। আমানতের প্রতি খেয়ানত করা মুনাফিকের লক্ষণ। রসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, আমানতদার বিশ্বাসী জান্নাতে যাবে। (মুসনাদে আহমদ, হাদিস নং: ১২৪৫)
উত্তম চরিত্র
নবীজি (সা.) বলেছেন,
যে ব্যক্তি উত্তম চরিত্র অর্জন করে, সে কিয়ামতের দিন আমার নিকটতম অবস্থানে থাকবে। (সুনানে তিরমিজি, হাদিস নং: ২০০৩)
হালাল উপার্জন
হালাল উপার্জন জীবনের বরকতের চাবিকাঠি। রসুল (সা.) বলেছেন, হালাল জীবিকা অর্জন করা প্রতিটি মুসলমানের জন্য ফরজ। (মুসনাদে আহমদ, হাদিস নং: ৪৪৬৬) নবীজির (সা.) এই নির্দেশনা আমাদের জীবনে আমল করলে তা শুধু দুনিয়ার সফলতা নয়, পরকালেও নাজাতের মাধ্যম হবে। ব্যক্তি, পরিবার, ও সমাজ জীবনে এই গুণগুলো বাস্তবায়ন করলে আমাদের চারপাশে শান্তি ও কল্যাণের পরিবেশ তৈরি হবে। আল্লাহ আমাদের সবাইকে নবীজির ফরজ নির্দেশনা পালন এবং এই গুণাবলীর উপর আমল করার তাওফিক দিন। আমীন।