পুষ্টিগুণ পেতে বিট রুট সালাদ করে খেতে পারেন। কিংবা শরবত করেও খাওয়া যায় এটি। পুষ্টিবিদদের মতে, বিটের তৈরি শরবত পটাসিয়াম, আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম, ভিটামিন বি সিক্সের বিশাল ভাণ্ডার।
উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে এই রস দারুণ কাজ করে। এছাড়া যাদের কোষ্ঠ্যকাঠিন্যের সমস্যা রয়েছে, হাড়ে ক্যালশিয়ামের ঘাটতি রয়েছে তাদের নিয়মিতই বিটরুটের রস খাওয়া প্রয়োজন। এতে রয়েছে ভিটামিন এ ও ক্যারোটিন। তাই চোখ ও রেটিনার স্বাস্থ্য ভালো রাখতে কার্যকরী ভূমিকা রাখতে পারে বিটরুট।
বিটে বিটেইন ও ট্রিপটোফোন উপাদান মন ভালো রাখতে সাহায্য করে। যারা ডিপ্রেশন বা দুশ্চিন্তায় ভোগেন তারা ডায়েট লিস্টে বিটের রস নিশ্চিন্তে রাখতে পারেন।
বিটরুটে আয়রন থাকে, যা রক্তের হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বাড়াতে সহায়তা করে। এতে রক্তস্বল্পতা বা অ্যানিমিয়া প্রতিরোধ হয় এবং শরীরে অক্সিজেন সরবরাহ উন্নত হয়।
নিয়মিত বিটরুট খাওয়ার অভ্যাস শরীরের কোষকে ক্ষতিকর মুক্ত রেডিকেল থেকে রক্ষা করে এবং প্রদাহ কমাতে সহায়তা করে। বিটরুট শরীরে অক্সিজেন সরবরাহ উন্নত করে এবং কর্মক্ষমতা বাড়ায়। একে ‘ন্যাচারাল এনার্জি বুস্টার’ বলা হয়, কারণ এটি দীর্ঘক্ষণ কাজ করার ক্ষমতা বাড়াতে সহায়তা করে।
বিটরুটে ফোলেট থাকে, যা মস্তিষ্কের কার্যকারিতা উন্নত করতে সহায়তা করে এবং মানসিক চাপ কমায়। এটি মুড বুস্টার হিসেবেও কাজ করতে পারে। সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা গেছে, নিয়মিত বিট খাওয়ার অভ্যাস শরীরে ক্যানসার প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে তুলতে পারে। তবে যাদের নিম্ন রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, গলব্লাডারে পাথর কিংবা অ্যালার্জির সমস্যা রয়েছে তাদের এই রস গ্রহণ না করাই ভালো বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।