লাইফ ষ্টাইল ডেস্ক : প্রতিবছর ১ অক্টোবর উদযাপিত হয় দিবসটি। এ দিবসের ঘোষণা করে আন্তর্জাতিক কফি সংস্থা (আইসিও)। ২০১৫ সালে ইতালিতে প্রথমবার এ দিবস উদযাপিত হয়। কিন্তু আপনি কি জানেন, নিয়মিত কফি খেলে শরীরে কী পরিবর্তন ঘটে?
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নিয়মিত কফি কাওয়ার উপকারিতা যেমন রয়েছে, তেমন রয়েছে অপকারিতাও। আসু এক নজরে তা জেনে নিই-
কফির উপকারিতা ও অপকারিতাকফি বীজ কফি চেরি নামক এক ধরনের ফলের বীজ। বিশ্বের প্রায় ৭০টি দেশে এই ফলের গাছ জন্মে। কফির সঙ্গে দুধ, চিনি মিশিয়ে যেমন খাওয়া যায়। আবার কফির সঙ্গে কিছু না মিশিয়ে ব্ল্যাক কফিও খাওয়া যায়। তবে যেভাবেই কফি খান না কেন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কফির বীজে লুকিয়ে রয়েছে নানা উপকারী গুণ।
কফির উপকারিতা
১) কফিতে থাকা ক্লোরোজেনিক অ্যাসিড, যা তাড়াতাড়ি মেদ ঝরাতে সাহায্য করে। এ ছাড়া নতুন করে শরীরে মেদ জমার আশঙ্কাও কমায়।
২) কফি শরীরের বিপাকীয় হার বাড়ায়। শারীরিক শক্তিও বাড়াতে সহায়তা করে এটি। এতে চট করে খিদে পেয়ে যাওয়ার প্রবণতা বন্ধ হয়।
৩) কালো কফি খেলে সারা দিন অনেক বেশি সক্রিয় থাকা যায়। কাজেও অনেক বেশি মন দেওয়া যায়। অতিরিক্ত পরিমাণ ক্যালোরি ঝরাতেও সাহায্য করে এই পানীয়। তাই শরীরচর্চা করার আগে কালো কফি খেতে পারেন।
৪) শরীরে অতিরিক্ত পানি জমলে তা বের করে দিতে পারে কফি। কফি খাওয়ার পর শরীর থেকে প্রস্রাবের মাধ্যমে অতিরিক্ত পানি বেরিয়ে যায়। এ কারণে কফিকে ‘ওয়াটার ওয়েট’ নিয়ন্ত্রকও বলা হয়।
কফির যতই উপকারিতা থাকুক না কেন নিয়মিত ছোট এক কাপের বেশি খাওয়া ঠিক নয়। এতে উপকারের চেয়ে অপকারিতাই বেশি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে বলে মনে করছেন পুষ্টিবিদরা।
কফির অপকারিতা
উপকারী কফি সঠিকভাবে না খেলে হিতে বিপরীত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এতে করে শরীর কফির উপকারী গুণতো পায় না বরং কফিই হয়ে ওঠে শরীরে নানা সমস্যার কারণ। যেমন-
১। খালি পেটে কফি খাওয়ার অভ্যাসে পাকস্থলীতে হাইড্রোক্লোরিক অ্যাসিড তৈরি হয়। এ এসিড পেটে গ্যাস ও অ্যাসিডিটির সমস্যা তৈরি করে। অনেক সময় খালি পেটে কফি খাওয়ার অভ্যাস ডেকে নিয়ে আসতে পারে আলসারের সমস্যাকে।
২। প্রতিদিন ২ কাপের বেশি কফি খাওয়ার অভ্যাস কিডনির স্বাভাবিক কার্যকারিতা ধীরে ধীরে নষ্ট করে।
৩। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কফি দ্রুত শরীরে চাঙা ভাব ফিরিয়ে আনলেও তা মস্তিষ্কের ওপর চাপ তৈরি করে।
তাই নিয়মিত বেশি কফি খাওয়ার অভ্যাস থেকে বিরত থাকুন। কফির শুধু উপকারিতা টুকু পেতে চাইলে হালকা নাশতার পর খেতে পারেন এক কাপ কফি। তবে যাদের প্রেশার লো তাদের কখনই ব্ল্যাক কফি খাবেন না। তারা ভরসা রাখতে পারেন দুধ, চিনি মেশানো এক কাপ কফিতে। তবে সেটিও দিনে একবারের বেশি গ্রহণ উচিত নয় বলে মনে করছেন চিকিৎসকরা।
সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া
কিউএনবি/আয়শা/০১ অক্টোবর ২০২৪,/বিকাল ৫:৩৪