অপূর্ণতা হয়ে বেঁচে রয়
_______________
দিনান্তে নিরবতাকেই কাছে রাখা হয়।
অনেক তো হলো,
অভিযোগ করে লাভ নেই কোনো।
কৌতূহল থেকে যা শুরু হয়,
কৌতূহল মিটলে পরে, সেই অজানার মৃত্যু ঘটে।
তাদেরও জানা-অজানার মৃত্যু ঘটেছে।
অনুসন্ধিৎসু মনের স্বার্থ একটাই,
অজানাকে জানা।
রহস্যের স্বার্থ, নিজেকে রহস্যে ঘিরে রাখা।
রহস্যের শেষ হয় নিজেকে অনাবৃত করে।
কৌতূহল তখন থমকে থাকে।
তারপর –
রহস্য এবং কৌতূহল, উভয়েরই মহাপ্রয়াণ।
কিন্তু কেনো এই ফুরিয়ে যাওয়া!
কেনো গাঢ় হয়ে উঠল না দুটি অসম্পূর্ণ শক্তির
একত্র হওয়ার বোধ?
আরো কিছুটা উন্মোচন কিংবা আবিষ্কারের ক্ষুধা!
মূলত,
মিলিত হবার অভিপ্রায়ে ক’জন কাছে আসে?
ছেড়ে গেলেও ক’জনই বা বলে যায়?
থেকে যেতে চায় কে কে, সবটা জেনেও?
উত্তর মেলে না এসবের।
আর এ’কথা জানে বলেই –
কারো কাছেই কোনো অভিযোগ নেই।
অবশেষে-
পরিপূর্ণ হবার হাহাকার থাকা সত্বেও,
অপূর্ণতা হয়ে বেঁচে রয়।
কবি পরিচিতিঃ ফারহা মৌরিন মৌ। কবি, প্রচ্ছদ শিল্পী এবং বাচিকশিল্পী। নিয়মিত লেখালিখি, আবৃত্তিচর্চা এবং কণ্ঠশিল্পী হিসেবে কাজ করছেন। বিশেষ করে সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁর লেখা বিশেষ আবেদন সৃষ্টি করে।ফারহা মৌরিন মৌ একজন প্রফেসনাল ভয়েস ওভার আর্টিস্টও । তিনি নিয়মিত ইউটিউব, ফেসবুক পেজ, টিভি মিডিয়াতে ভয়েস নিয়ে কাজ করছেন। গল্প, কবিতা লেখালিখি তার ভালোলাগার একটি অন্যতম জায়গা। তার কবিতায়, লেখায় জীবনবোধ, আধ্যাত্বিকতা, বাস্তবতার রূপ দেখতে পাওয়া যায়।
কিএনবি/বিপুল/১৫.০৪.২০২৪/বিকাল ৩.৫৫