সোমবার, ২০ অক্টোবর ২০২৫, ১২:০০ অপরাহ্ন

কোরআন পাঠের ফজিলত

Reporter Name
  • Update Time : বৃহস্পতিবার, ১৪ ডিসেম্বর, ২০২৩
  • ১১৮ Time View

ডেস্ক নিউজ : হযরত নাওয়াস ইবনে সামআন রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে এ কথা বলতে শুনেছি যে, ‘কোরআন ও ইহজগতে তার উপর আমলকারীদেরকে (বিচারের দিন মহান আল্লাহর সামনে) পেশ করা হবে। সুরা বাকারাহ ও সুরা আলে ইমরান তার আগে আগে থাকবে ও তাদের পাঠকারীদের স্বপক্ষে (প্রভুর সঙ্গে) বাদানুবাদে লিপ্ত হবে। (মুসলিম ৮০৫, তিরমিজি ২৮৮৩, আহমাদ ১৭১৮৫)

কুরআন শিক্ষার গুরুত্ব ও ফজিলত

হযরত উসমান ইবনে আফফান রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘তোমাদের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ ব্যক্তি সেই, যে নিজে কুরআন শিখে ও অপরকে শিক্ষা দেয়।’ (বুখারি ৫০২৭, ৫০২৮, তিরমিজি ২৯০৭, ২৯০৮, আবু দাউদ ১৪৫২)

হযরত আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, কুরআনের (শুদ্ধভাবে পাঠকারী ও পানির মত হিফজকারী পাকা) হাফেজ মহা সম্মানিত পুণ্যবান লিপিকার (ফেরেশতাবর্গের) সঙ্গী হবে। আর যে ব্যক্তি (পাকা হিফজ না থাকার কারণে) কুরআন পাঠে ’ওঁ-ওঁ’ করে এবং পড়তে কষ্টবোধ করে, তার জন্য রয়েছে দু’টি সওয়াব।’ (একটি তেলাওয়াত ও দ্বিতীয়টি কষ্টের দরুন।) (বুখারি ৪৯৩৭, মুসলিম ৭৯৮, তিরমিজি ২৯০৪, আবু দাউদ ১৪৫৪, ইবনু মাজাহ ৩৭৭৯, আহমাদ ২৩৬৯১)

কুরআন তেলাওয়াতের ফজিলত

হযরত আবু মুসা আশআরি রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘কুরআন পাঠকারী মুমিনের উদাহরণ হচ্ছে ঠিক উতরুজ্জা (কমলা লেবুর মত এক ধরনের ফল) যার ঘ্রাণ উত্তম ও স্বাদও উত্তম। আর যে মুমিন কুরআন পড়ে না তার উদাহরণ হচ্ছে ঠিক খেজুরের মত; যার (উত্তম) ঘ্রাণ তো নেই, তবে স্বাদ মিষ্ট। (অন্যদিকে) কুরআন পাঠকারী মুনাফিকের দৃষ্টান্ত হচ্ছে সুগন্ধিময় (তুলসী) গাছের মত; যার ঘ্রাণ উত্তম, কিন্তু স্বাদ তিক্ত। 

আর যে মুনাফিক কুরআন পড়ে না তার উদাহরণ হচ্ছে ঠিক মাকাল ফলের মত; যার (উত্তম) ঘ্রাণ নেই, স্বাদও তিক্ত।’ (বুখারি ৫০২০, ৫৪২৭, ৫০৫৯, ৭৫৬০, মুসলিম ৭৯৭, তিরমিজি ২৮৬৫, নাসায়ি ৫০৩৮, আবু দাউদ ৪৮২৯, ইবনু মাজাহ ২১৪, আহমাদ ১৯০৫৫)

হযরত উমার ইবনে খাত্তাব রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘মহান আল্লাহ এই গ্রন্থ (কুরআন মাজিদ) এর মাধ্যমে (তার উপর আমলকারী) জনগোষ্ঠীর উত্থান ঘটান এবং এরই মাধ্যমে (এর অবাধ্য) অন্য গোষ্ঠীর পতন সাধন করেন।’ (মুসলিম ১৮০)

কুরআনের ফজিলত

হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে উমার রা. আনহু কর্তৃক বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘দুজনের ক্ষেত্রে ঈর্ষা করা সিদ্ধ। যাকে আল্লাহ কুরআন (মুখস্থ করার শক্তি) দান করেছেন, সুতরাং সে ওর (আলোকে) দিবা-রাত্রি পড়ে ও আমল করে। যাকে আল্লাহ তা’আলা ধন-সম্পদ দান করেছেন এবং সে (আল্লাহর পথে) দিন-রাত ব্যয় করে।’ (বুখারি ৫০২৫, ৭৫২৯, মুসলিম ৮১৫, তিরমিজি ১৯৩৬, ইবনু মাজাহ ৪২০৯, আহমাদ ৪৫৩৬, ৪৯০৫, ৫৫৮৬, ৬১৩২, ৬৩৬৭)

হযরত বারা ইবনে আযেব রা. আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, একদা একটি লোক সূরা কাহফ পাঠ করছিল। তার পাশেই দুটো রশি দিয়ে একটি ঘোড়া বাঁধা ছিল। ইতোমধ্যে লোকটিকে একটি মেঘে ঢেকে নিলো। মেঘটি লোকটির নিকটবর্তী হতে থাকলে ঘোড়াটি তা দেখে চমকাতে আরম্ভ করল। অতঃপর যখন সকাল হলো তখন লোকটি রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকটে হাজির হয়ে উক্ত ঘটনা বর্ণনা করল। তা (শুনে) তিনি বললেন, ‘ওটি প্রশান্তি ছিল, যা তোমার কোরআন পড়ার দরুন অবতীর্ণ হয়েছে।’ (বুখারি ৫০১১, ৩৬১৪, ৪৮৩৯, মুসলিম ৭৯৫, তিরমিজি ২৮৮৫, আহমাদ ১৮০০৬)

হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি আল্লাহর কিতাব (কুরআন মাজীদ)এর একটি বর্ণ পাঠ করবে, তার একটি নেকী হবে। আর একটি নেকী দশটি নেকীর সমান হয়। আমি বলছি না যে, ’আলিফ-লাম-মীম’ একটি বর্ণ; বরং আলিফ একটি বর্ণ, লাম একটি বর্ণ এবং মীম একটি বর্ণ।’ (অর্থাৎ তিনটি বর্ণ দ্বারা গঠিত ’আলিফ-লাম-মীম, যার নেকীর সংখ্যা হবে ত্রিশ।) (তিরমিজি ২৯১০)

 

 

কিউএনবি/আয়শা/১৪ ডিসেম্বর ২০২৩,/রাত ৮:০০

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

আর্কাইভস

October 2025
M T W T F S S
 123456
78910111213
14151617181920
21222324252627
282930  
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৫-২০২৩
IT & Technical Supported By:BiswaJit