ডেস্ক নিউজ : ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক ও সিলেট মহাসড়কের সোনারগাঁ উপজেলার কাঁচপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনায় থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। রোববার মধ্যরাতে সোনারগাঁ থানার এসআই ফিরোজ আহমেদ বাদী হয়ে থানায় মামলাটি দায়ের করেন।
এদিকে থানায় মামলা দায়েরের পর পুলিশ সোনারগাঁ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে বিএনপির ২ নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করেছে। গ্রেফতারকৃতরা হলেন- জামপুর ইউনিয়ন বিএনপির ধর্মবিষয়ক সম্পাদক মো. ইব্রাহিম (৬২) ও বিএনপি কর্মী সুরুজ মিয়া (৫৫)। ইব্রাহিম মিয়ার বাড়ি সোনারগাঁ উপজেলার জামপুর ইউনিয়নের পাকুন্দা গ্রামে। সুরুজ মিয়ার বাড়ি মোগরাপাড়া ইউনিয়নের কাফুরদী গ্রামে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, শনিবার বিকালে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সোনারগাঁ উপজেলার কাঁচপুরে বিএনপির পদযাত্রায় নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের ব্যাপক সংঘর্ষ, ধাওয়া পাল্টাধাওয়া ও ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। এ সময় বিক্ষুব্ধ বিএনপির নেতাকর্মীরা কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুর করেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ এ সময় লাঠিচার্জ, রাবার বুলেট ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে। সংঘর্ষে ১৭ জন গুলিবিদ্ধসহ কমপক্ষে ৪০ জন আহত হন। এ সময় ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক ও ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে প্রায় এক ঘণ্টাব্যাপী যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির একটি সূত্র জানায়, কাঁচপুরে বিএনপির নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনায় থানায় মামলা দায়েরের পর থেকে নারায়ণগঞ্জ জেলার ৫টি উপজেলার অধিকাংশ বিএনপি ও এর অঙ্গ-সংগঠনের নেতাকর্মীরা গ্রেফতার আতংকে এলাকা ছেড়ে অন্যত্র পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। সোনারগাঁ থানার ওসি মাহাবুব আলম জানান, পুলিশের সঙ্গে বিএনপি ও এর অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনায় থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এতে ১১৩ জনের নাম উল্লেখ করাসহ অজ্ঞাত ৬শ জনকে আসামি করা হয়েছে।
কিউএনবি/আয়শা/২১ অগাস্ট ২০২৩,/বিকাল ৫:৪৫