আনিছুর রহমান মানিক, ডোমার (নীলফামারী) প্রতিনিধি : নীলফামারীর ডোমার উপজেলার চিলাহাটিতে ভিজিডি কার্ড দেয়ার নামে হাজার হাজার টাকার আত্নসাৎতের অভিযোগ উঠেছে ইউপি সদস্য ও গ্রাম পুলিশের বিরুদ্ধে। জানা যায়, উপজেলার ১নং ভোগডাবুরী ইউনিয়নে অসহায় ও দুঃস্থ মানুষের জন্য সরকারী ভিজিডির ৫৭০ টি কার্ড বরাদ্দ করা হয়।
এই সব কার্ডের মেয়াদ ২ বছরে জন্য, প্রতি ২ বছর অন্তর কার্ডধারীদের পরিবর্তন করা হয়, সরকারী নীতিমালার মেনে দুঃস্থ ও অস্বচ্ছল পরিবারকে অনলাইনে আবেদন করতে বলা হয়। তাতে প্রায় ভোগডাবুরী ইউনিয়নে ৩ হাজার দুঃস্থ গরীব অস্বচ্ছল পরিবার অনলাইনে আবেদন করে। কিন্তু অনলাইনে আবেদন শুধু ধোকাবাজি আর দুর্নীতি ভরা-চেয়ারম্যান, মেম্বার/ মহিলা মেম্বার, উপজেলা চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান,মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ও নেতার সুপারিশে এই ভিজিএফ কার্ডের তালিকা তৈরি করা হয়।
তাতে দেখা যায় যে অস্বচ্ছল পরিবার ব্যতিত স্বচ্ছল পরিবারই ভিজিএফ কার্ডের তালিকায় অর্ন্তভুক্ত হয়েছে এবং এই কার্ডের বিনিময়ে ৬ থেকে ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত নেওয়া হয়েছে বলে ভুক্তভোগীদের নিকট হতে। অভিযোগের প্রেক্ষিতে জানা যায় ১ নং ভোগডাবুড়ী ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডের গ্রাম পুলিশ মমিনুল হক , ১ নং ওয়ার্ডের জাহানারা বেগম, ৯ নং ওয়ার্ডের আলিফনুরা বেগম, জয়তুন, ময়না, বুলবুলি, রুনা আক্তার, আলিফা বেগম, মোরশেদা বেগম, সালমা বেগম, তসকিনা আক্তার গত ৩০ এপ্রিল ভোগডাবুড়ী ইউনিয়ন চেয়ারম্যান বরাবর একটি অভিযোগপত্র দায়ের করেন।
অভিযোগে উল্লেখ থাকে যে গ্রাম পুলিশ মমিনুল হক অনেকের কাছ থেকে ভিজিডি কার্ড দেওয়ার কথা বলে ৭ হাজার, কারো কাছে ৮ হাজার এবং কারো কারো কাছে ১০ হাজার করে টাকা নেয়। গত ৩০ এপ্রিল এই ১১ জন মহিলা ভোগডাবুড়ী ইউনিয়ন পরিষদে ভিজিডি চাল নিতে আসলে এসে দেখে তাদের নামে কোন ভিজিডি কার্ড হয়নি। ভোগডাবুড়ী ইউপি চেয়ারম্যান রেয়াজুল হক কালু জানান- ভিজিএফ কার্ড না পাওয়া মহিলাদের লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
কিউএনবি/আয়শা/০৪ মে ২০২৩,/বিকাল ৫:০৮