ডেস্ক নিউজ : বুধবার (১ মার্চ) বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ তথ্যে একথা জানা গেছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য বলছে, ফেব্রুয়ারি মাসে ১৫৬ কোটি ১২ লাখ মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স দেশে এসেছে। যেখানে জানুয়ারিতে এসেছিল প্রায় ১৯৫ কোটি ৮৯ লাখ ডলার। সে হিসাবে মাস ব্যবধানে প্রবাসী আয় কমেছে ৩৯ কোটি ৭৭ লাখ মার্কিন ডলার। তবে গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৬ কোটি ৬৭ লাখ ডলার বেশি এসেছে। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ১৪৯ কোটি ৪৪ লাখ ডলার রেমিট্যান্স এসেছিল।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুসারে, ফেব্রুয়ারি মাসে রাষ্ট্র মালিকানাধীন ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে ২৭ কোটি ৫৭ লাখ ডলার রেমিট্যান্স এসেছে। এছাড়া বিশেষায়িত ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ৩ কোটি ৮ লাখ ডলার, বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ১২৪ কোটি মার্কিন ডলার ও বিদেশি ব্যাংকগুলো মাধ্যমে এসেছে ৬ কোটি ১৮ লাখ ডলার।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য পর্যালোচনায় দেখা গেছে, গত জুলাইয়ে দেশে মোট রেমিট্যান্স এসেছিল ২০৯ কোটি ৬৩ লাখ ডলার। এর পরের মাসে কিছুটা কমে, আসে ২০৩ কোটি ৬৯ লাখ ডলার। এর পরের মাস সেপ্টেম্বরে এসে মাসের ব্যবধানে ৫০ কোটি ডলার রেমিট্যান্স কম আসে। ওই মাসে মোট প্রবাসী আয়ের হিসাব দাঁড়ায় ১৫৩ কোটি ৯৬ লাখ ডলার। অক্টোবরে আরেক দফা কমে রেমিট্যান্স আসে ১৫২ কোটি ৫৫ লাখ ডলার।
পরে নভেম্বরে এসে আবার ঊর্ধ্বমুখী হতে শুরু করে বৈধ চ্যানেলে পাঠানো প্রবাসীদের আয়ের অঙ্ক। এ মাসে মোট রেমিট্যান্স আসে ১৫৯ কোটি ৫২ লাখ ডলার। আর বিদায়ী বছরের শেষ মাসে রেমিট্যান্স এসেছিল ১৬৯ কোটি ৯৬ লাখ ডলার। নতুন বছরের প্রথম মাসে রেমিট্যান্সের প্রবাহে উত্থান দেখা দেয়, জানুয়ারিতে আসে ১৯৫ কোটি ৮৯ লাখ ডলার। কিন্তু পরের মাসেই আবার কমে যায় রেমিট্যান্স।
রেমিট্যান্স বাড়াতে বাংলাদেশ ব্যাংক নানা পদক্ষেপ নিয়েছে। খাত সংশ্লিষ্টরা মনে করেন, আসন্ন রমজান ও ঈদুল ফিতরের মতো ধর্মীয় উৎসব থাকায় প্রবাসী আয়ের পালে সুবাতাসই বইবে। কাজেই সামনে রেমিট্যান্স আরও বাড়বে বলে মনে করেন তারা।
কিউএনবি/আয়শা/০১ মার্চ ২০২৩,/সন্ধ্যা ৭:৫০