শুক্রবার, ১৭ অক্টোবর ২০২৫, ০৯:৫৯ পূর্বাহ্ন

জাজিরায় আওয়ামীলীগের দুই গ্রুপের আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে আহত-১০

খোরশেদ আলম বাবুল শরীয়তপুর প্রতিনিধি ।
  • Update Time : বুধবার, ১৫ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩
  • ১৩৬ Time View

খোরশেদ আলম বাবুল শরীয়তপুর প্রতিনিধি : আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে জাজিরার বিলাশপুরে আওয়ামীলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে দফায় দফায় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। আজ বুধবার ভোর থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত বিলাসপুরের বিভিন্ন স্থানে বর্তমান চেয়ারম্যান আওয়ামীলীগ নেতা আব্দুল কুদ্দুস বেপারী ও পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থী যুবলীগ নেতা আব্দুল জলিল মাদবর গ্রুপের মধ্যে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

সংঘর্ষ চলাকালে উভয় গ্রুপের লোকজন দেশীয় অস্ত্র টেটা, বল্লম, ঢাল, সরকি ব্যবহার সহ অন্তত ৫শতাধিক ককটেল বোমার বিষ্ফোরণ ঘটিয়ে ত্রাস সৃস্টি করা হয় বলে স্থানীয়রা জানিয়েছে। এতে পুরো এলাকার সাধারণ লোকজনের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় অন্তত ১০ আহত হয়েছে। আহতদের জাজিরা উপজেলা স্বাস্থ কমপ্লেক্স ভর্তি করা হয়েছে। গুরুতর আহতদের ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে পুলিশ ২২ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ও ৬টি টিয়ারসেল নিক্ষেপ করে। এ সংবাদ লেখা পযর্ন্ত কোন পক্ষই মামলা করেনি।

জাজিরা থানা ও স্থানীয় সূত্রে জানাগেছে, শরীয়তপুর জেলার জাজিরা উপজেলঅর বিলাসপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল কুদ্দুস বেপারী উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সদস্য এবং আব্দুল জলিল মাদবর জাজিরা উপজেলা যুবলীগের সাবেক সদস্য। তাদের মধ্যে দীর্ঘদিন যাবত আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বিরোধ চলে আসছে। গত ইউপি নির্বাচনে কুদ্দুস বেপারী ও আব্দুল জলিল মাদবর প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে কুদ্দুস বেপারী বিলাসপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়। নির্বাচনে পরাজিত হয়ে হামলা মামলার ভয়ে চেয়ারম্যান প্রার্থী জলিল মাদবরের অনেক সমর্থক এলাকা ছেড়ে অন্যত্র চলে যায়।

গত ২৩ জানুয়ারী জলিল মাদবরের লোকজন এলাকায় আসার পর ওইদিনই দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। কুদ্দুস বেপারীর সমর্থকরা জানান, আজ বুধবার ভোর ৬টার সময় জলিল মাদবরের লোকজন দেশীয় অস্ত্র-সস্ত্র সহ ককটেল বোমার বিষ্ফোরণ ঘটিয়ে কুদ্দুস বেপারীর গ্রামে তার সমর্থকদের ওপর হামলা চালানোর চেস্টা করে। ঘটনাটি এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে পুরো ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থানে দুই গ্রুপের লোকজনের মধ্যে দফায় দফায় ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও মুহূমুহু ককটেল বিস্ফোরণ ঘটালে পুরো এলকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। এ সময় উভয় গ্রুপের লোকজন অন্তত ৫শতাধিক ককটেল বিষ্ফোরন ঘটায় বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে।

এ ব্যাপারে আব্দুল জলিল মাদবর বলেন, নির্বাচনের পর থেকেই কুদ্দুস বেপারীর লোকজনের আক্রমনের ভয়ে আমার সমর্থকরা বাড়িতে থাকতে পারছে না। প্রায় ১০ মাস পরে প্রশাসনের সহযোগিতায় বাড়িতে আসলেও কুদ্দুস বেপারীর লোকজন প্রতিনিয়ত হুমকি-ধামকি দিয়ে আসছিল। তারই ধারাবাহিকতায় আজ সুযোগ বুঝে আমার লোকজনের ওপর হামলা চালায়। চেয়ারম্যান আব্দুল কুদ্দুস বেপারী বলেন, আজ সকালে হঠাৎ জলিল মাদবরের সমর্থকরা কিছু বুঝে ওঠার আগেই কাকডাকা ভোরে জলিলের লোকজন আমার বাড়ি-ঘর ঘেরাও করে উপর্যপুরি ককটেল বিষ্ফোরণ ঘটিয়ে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে আমার নিরহ কর্মী সমর্থকদের ওপর হামালা চালায়। পরে আমার লোকজন তাদেরকে প্রতিহত করার চেষ্টা করে। ঘটনা নিয়ন্ত্রণে আমি তাৎক্ষণিক স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনকে জানিয়েছি।

জাজিরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, আধিপত্য বিস্তার নিয়ে জাজিরার বিলাশপুরে দুই পক্ষের মধ্যে ককটেল বিষ্ফোরণ ঘটিয়ে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার খবর পেয়ে তাৎক্ষনিক পুলিশ পাঠিনো হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনেত ২২ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ও ৬টি টিয়ারসেল নিক্ষেপ করা হয়। এলাকার পরিবেম শান্ত রাখতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েচে। এখনো কোন পক্ষ মামলা করেনি। মামলা হলে আমরা পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করব।

 

 

কিউএনবি/আয়শা/১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৩/সন্ধ্যা ৬:২৮

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

আর্কাইভস

October 2025
M T W T F S S
 123456
78910111213
14151617181920
21222324252627
282930  
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৫-২০২৩
IT & Technical Supported By:BiswaJit