স্পোর্টস ডেস্ক : দুই বছর আগে পালমেইরাসের একাডেমিতে শিক্ষানবিশ চুক্তিতে এস্তেভাও উইলিয়ানকে নেওয়া হয়েছিল। এখনো তার সঙ্গে পেশাদার চুক্তিতে যায়নি ব্রাজিলের এই ক্লাবটি। তবে ১৫ বছর বয়সী এই কিশোরের প্রতিভার দ্যুতি ছড়িয়েছে আরও ৫ বছর আগেই। তবে অবাক করা তথ্য তিনি ব্রাজিলিয়ান হলেও তার আদর্শ আর্জেন্টিনার কিংবদন্তী ফুটবলার লিওনেল মেসি! তাই তার ডাক নাম ‘মেসিনিও’।
২০০৭ সালের ২৪ এপ্রিলে তার জন্ম। ২০২৫ সালের ২৪ এপ্রিলের আগপর্যন্ত, অর্থাৎ ১৮ বছর বয়স না হওয়া পর্যন্ত তাকে ব্রাজিলেই খেলতে হবে। পালমেইরাসেরই মূল দলে খেলা ব্রাজিলের ১৬ বছর বয়সী আরেক ‘বিস্ময় বালক’ এনদ্রিকের ক্ষেত্রেও ঠিক তা–ই হয়েছে। গত বছর ১৫ ডিসেম্বর তাকে কেনার খবর নিশ্চিত করে রিয়াল মাদ্রিদ। মাদ্রিদের ক্লাবটির পক্ষ থেকে বলা হয়, পালমেইরাস ও এনদ্রিকের পরিবারের সঙ্গে সম্মত হয়েছে রিয়াল। ২০২৪ সালের জুলাইয়ে ১৮ বছর বয়স পূর্ণ হওয়ার আগপর্যন্ত পালমেইরাসেই থাকবেন এনদ্রিকে। রিয়ালে আসবেন ১৮ বছর বয়স পূর্ণ করে।
স্পেনের সংবাদমাধ্যম ‘মুন্দো দেপোর্তিভো’ জানিয়েছে, পিএসজি এরই মধ্যে তাকে কেনার জন্য যোগাযোগ করেছে পালমেইরাসের সঙ্গে। ‘গোল ব্রাজিল’ জানিয়েছে, শুধু পিএসজি নয়, আর্সেনাল আর বার্সেলোনাও এস্তেভাওয়ের জন্য ধরনা দিয়েছে পালমেইরাসে। ক্লাবটির ম্যানেজার হোয়াও পাওলো সাম্পাইয়োর সূত্র মারফত আর্জেন্টিনার সংবাদমাধ্যম ‘ক্লারিন’ জানিয়েছে, পিএসজি তিন–তিনবার যোগাযোগ করেছে পালমেইরাসে।
এস্তেভাওকে কিনতে তিন ধাপে দাম বাড়িয়েছে পিএসজি। প্রথমে ৩০ (মিলিয়ন ইউরো), তারপর ৩৫ এবং শেষে ৪০ মিলিয়ন ইউরো দাম বলেছে। পালমেইরাস রাজি হয়নি। এস্তেভাওয়ের প্রতিভার নিক্তিতে পালমেইরাস সম্ভবত মনে করছে, তার দাম আরও বেশি। ব্রাজিলের শীর্ষ লিগের এই ক্লাব এস্তেভাওয়ের সঙ্গে আপাতত চুক্তির মেয়াদ বাড়িয়ে তার গায়ে ‘রিলিজ ক্লজ’–এর চড়া মূল্য সেঁটে দিতে চায়। আর এস্তেভাও চাইলেই এখন খেলার জন্য দেশ ছাড়তে পারবেন না।
‘মুন্দো দেপোর্তিভো’কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এস্তেভাও নিজের লক্ষ্য জানাতে গিয়ে মেসির পথেই হাঁটার ইঙ্গিত দিয়েছেন, ‘আমি ইউরোপে গিয়ে বার্সেলোনার হয়ে খেলতে চাই…সে (মেসি) এমন কেউ, যাঁকে দেখে আমি প্রেরণা পাই এবং তার সবকিছু ভালোভাবে খেয়াল করি।’ স্পেনের সংবাদমাধ্যম ‘মার্কা’ জানিয়েছে, এ বছর এপ্রিলে এস্তেভাওয়ের সঙ্গে চুক্তির মেয়াদ বাড়াবে পালমেইরাস। আর রিলিজ ক্লজ ধরা হবে পাঁচ কোটি ইউরো।
মাত্র ১০ বছর বয়সে তার সঙ্গে পেশাদার চুক্তি করেছে বিশ্বখ্যাত ক্রীড়াসরঞ্জাম প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান নাইকি। ব্রাজিলিয়ান ফুটবলে প্রতিভা পেলেই তাকে সবার আগে নিজেদের দলে টানার চেষ্টা করে নাইকি। রোনালদো থেকে ভিনিসিয়ুস…প্রায় সবার ক্ষেত্রেই এমন হয়েছে। কিন্তু এস্তেভাও উইলিয়ানকে কেউ টপকে যেতে পারেননি।
নাইকির সঙ্গে পেশাদার চুক্তি করা ব্রাজিলের সর্বকনিষ্ঠ ফুটবলার পালমেইরাসের বয়সভিত্তিক দলের এই উইঙ্গার। তার আরও একটি নাম আছে। ব্রাজিলিয়ান ফুটবলের খোঁজখবর রাখলে উইলিয়ানের সেই নাম বলামাত্রই তাকে কেউ কেউ চিনে ফেলতে পারেন। ব্রাজিলের পরবর্তী ‘ওয়ান্ডার বয়’!
কিউএনবি/আয়শা/১৪ জানুয়ারী ২০২৩/বিকাল ৫:০০