বাদল আহাম্মদ খান ,ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রতিনিধি : ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় এবার কর্মবিরতিতে গেলেন আদালতের কর্মচারিরা। বিচারকের সঙ্গে আইনজীবীদের অসৌজন্যমূলক আচরণ, বিচারিক কাজে হস্তক্ষেপ, কর্মচারিদের মারধর, মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ এনে বিচার বিভাগীয় কর্মচারি অ্যাসোসিয়েশন বুধবার থেকে কর্মবিরতি পালন শুরু করেন। একই সঙ্গে তারা মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে। সকাল থেকে আদালতের কর্মচারিরা নিজ নিজ কক্ষে না গিয়ে বাইরে অবস্থান করেন। আদালতের বিভিন্ন কক্ষে তালা ঝুলিয়ে রাখতে দেখা যায়। যে কারণে আদালতে কার্যক্রম শুরু করা যায়নি। সেবাগ্রহীতারা এসে ফিরে যাচ্ছেন। আদালত চত্বরে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। তবে কোনো ধরণের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।
এর আগে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক (জেলা জজ) মোহাম্মদ ফারুক এর আদালতে রবিবার থেকে যাচ্ছেন না আইনজীবিরা। আইনজীবি ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া বার অ্যাসোসিয়েশন নিয়ে আপত্তিজনক মন্তব্যের অভিযোগ আনা হয় ওই বিচারকের বিরুদ্ধে পাশাপাশি ওই বিচারকের প্রত্যাহারও দাবি করা হয়। বুধবার দুপুর দুইটার পর থেকে একাধিক সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, মূলত একটি মামলা দায়েরকে কেন্দ্র করে আইনজীবী সমিতির নেতাসহ একাধিক আইনজীবীর সঙ্গে বিচারক মোহাম্মদ ফারুকের বিতন্ডা হয়। সময় পার হয়ে যাওয়ায় নিয়ম অনুসারে মামলাটি নিতে অপারগতা প্রকাশ করায় ক্ষিপ্ত হন আইনজীবীরা। এ ঘটনায় ২৬ ডিসেম্বর সভা করে ১ জানুয়ারি থেকে সংশ্লিষ্ট আদালত বর্জনের সিদ্ধান্ত নেয় জেলা আইনজীবী সমিতি। এ ঘটনায় আদালতে কর্মরত কর্মচারিদের মধ্যেও বিরূপ প্রভাব দেখা দেয়। মঙ্গলবার বিচার বিভাগীয় কর্মচারি অ্যাসোসিয়েশন সভা করে বুধবার থেকে কর্মবিরতির সিদ্ধান্ত নেয়।
বিচার বিভাগীয় কর্মচারি অ্যাসোসিয়েশনের সূত্র জানায়, প্রায় চারশ’ কর্মচারি একযোগে কর্মবিরতিতে যাচ্ছেন। একটি মামলার ঘটনায় বিচারকের সঙ্গে শুধু নয়, কিছু আইনজীবী কর্মচারিদের সঙ্গে প্রতিনিয়তই বাজে ব্যবহার করেন। এ অবস্থা থেকে উত্তরণে কর্মসূচি দেওয়া হয়েছে।এদিকে আইনজীবীদের সূত্র জানায়, তারাও কর্মসূচি অব্যাহত রাখবেন। এরই অংশ হিসেবে বুধবার বেলা ২টার পর থেকে তারা কর্মবিরতিতে যাবেন। একজন নাজিরকে রক্ষায় কর্মচারিদের কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে বলে তারা মন্তব্য করেন।
কিউএনবি/অনিমা /০৪.০১.২০২৩/ সকাল ১১.৩৩