ভালোবাসা, প্রতিজ্ঞা, বিশ্বাস সবকিছু গুষ্টি উদ্ধার করে,
সাজানো পরিণয়ের রূপরেখা এঁকে দিলো
একদল আড়ালে থাকা শকুন।
টাকা আর সম্পদের পূজারী যারা!
সেই শকুনের প্রতিনিধি,
ভালোবাসার প্রতিদান দিয়ে দিল পতিদেব!
নতুন মাংসের গন্ধ চাই! পুরনো
আর কত …!
পুরুষতান্ত্রিক সমাজে, মেয়েদের শরীরের মাংস একদিকে যেমন লোভনীয়, আবার অন্যদিকে পরিত্যাজ্য!
কি অদ্ভুত!
অবশ্য, যত দোষ, গিয়ে পড়লো তার মায়ের ঘাড়ে।
সে মরে গেলেই নাকি সংসারটা বাঁচতো!
লাথি মেরে বেরিয়ে এলো মেয়েটি।
মেয়েটি এখন একা।
তিলে তিলে ক্ষয়ে যাচ্ছে একটি জীবন,
তার একমাত্র অবলম্বন।
মেয়েটির রাতে ঘুম হয় না, চুল ঝরে যাচ্ছে বড্ড অবেলায়।
অকালে হাড়ক্ষয় রোগের ধারক হয়েও,
নিজ শারীরিক অবস্থার দিকে তাকানোর সময় তো নেই।
বাঁচাতে হবে তাকে, যার জন্য তার নিশ্বাস নেয়া।
মাঝরাতে গুনতে থাকে পাশেই শুয়েই থাকা
অবলম্বনের বুকের স্পন্দন!
উঠছে ? নামছে ! আহ ! বেঁচে আছে !
মুখের গোঁজা ওড়নায় বুকফাটা আর্তনাদ
চাপা রয় অতি সন্তর্পনে , প্রতি রাতেই ।
ওদিকে কাজ চাই ! মনের মত কাজ।
প্রলোভন প্রচুর, কিন্তু সে জগতে প্রবেশ করলে
ফেরা যায় না… ফিরে এলেও বড্ড ব্যর্থতার গন্ধ!
বিধি-নিষেধ জারি করে রাখা সৃষ্টিকর্তার চোখে
কোনটি বেশি মূল্য রাখে, তার দেয়া উপহারের সঠিক ব্যবহার, নাকি অদৃশ্য আঙ্গুরের শরবতের নেশা,
এটি বুঝতেই মেয়েটির অর্ধেক জীবন হয়ে গেছে পার,
বাকিটায় ধাক্কা এলো এক বিশাল যে-
হাতে সময় বেশি নেই!
অপশন ? সেও তো একটাই !
হয় মরো, নয়তো
মরো-ই !!
লেখিকাঃ ফারহা মৌরিন মৌ। কবি এবং বাচিকশিল্পী। নিয়মিত লেখালিখি, আবৃত্তিচর্চা এবং কণ্ঠশিল্পী হিসেবে কাজ করছেন। বিশেষ করে সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁর লেখা বিশেষ আবেদন সৃষ্টি করে।