বৃহস্পতিবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৫, ১১:০৮ অপরাহ্ন

আওয়ামী লীগ জনগণকে ভয় পায় : রিজভী

Reporter Name
  • Update Time : রবিবার, ২৩ অক্টোবর, ২০২২
  • ৯৮ Time View

ডেস্ক নিউজ : বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ বলেছেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসলেই গণতন্ত্র নিরুদ্দেশ হয়ে যায়। শুরু হয় মহাপ্রতাপশালী আওয়ামী দুঃশাসন। এরা কোনদিনই বিরোধী দলকে বরদাস্ত করেনি। কারণ তারা জনগণকে ভয় পায়। মূলত, আওয়ামী লীগ ভয় পেয়ে গেছে। এ কারণেই বিএনপির সমাবেশকে পণ্ড করার জন্য দুর্বৃত্তদের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে তারা। আজ রবিবার দুপুরে বিএনপির নয়াপল্টন কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। 

রিজভী বলেন, যে সরকার বিরোধী মতের ওপর কঠোর অবস্থান এবং গুম ও ক্রসফায়ারে হত্যার অভিযোগে অভিযুক্ত সেই সরকার কখনোই বিরোধী দলের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিকেও মেনে নিতে পারে না। খুলনার মহাসমাবেশকে ঘিরে শুধু হামলা আর আক্রমণই নয়, ছিনতাই-আটক ও অর্থ আদায়সহ নানা ধরণের অপরাধ করেছে সমাবেশে আগত জনগণ ও বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর। এরা বিরোধী দলের ওপর দমন-পীড়ণের যে ধারাবাহিকতা রেখেছে সেখান থেকে সরে আসেনি। যুবলীগ-ছাত্রলীগের মতো আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীও হত্যায় উৎসাহী। 

তিনি বলেন, গতকাল খুলনার গণসমাবেশ ছিল এক অনবদ্য, স্বতঃস্ফূর্ত বিশাল জনসমাগম। জনসমাবেশকে বানচাল করতে সরকারি সকল উদ্যোগ ব্যর্থ করে দিয়ে রাত জেগে খুলনা মহানগরীর রাস্তাঘাট, ফুটপাথ ও সমাবেশ স্থলে শুয়ে বসে অবস্থান নেয় হাজার হাজার জনতা। বিভিন্ন স্থানে পুলিশের চেকপোস্ট, ছাত্রলীগ-যুবলীগের হামলার শিকার হয়েও মানুষের স্রোতকে ঠেকাতে ব্যর্থ হয়েছে শাসকগোষ্ঠী। সরকারি ধর্মঘটে সাধারণ মানুষকে ভোগান্তিতে ফেলেও খুলনা মহানগরীর জমায়েত ঠেকাতে পারেনি। 

বিএনপির এই মুখপাত্র অভিযোগ করে বলেন, গণসমাবেশের পরে জনগণ ও বিএনপি নেতাকর্মীরা বাড়িতে ফেরার পথেও আওয়ামী দষ্কিৃতিকারীদের হামলার মুখে পড়ে গুরুতর আহত হয়েছে। খুলনায় বিএনপি অফিসে অগ্নিসংযোগ করেছে, যানবাহন ট্রলারে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা নজীরবিহীন সন্ত্রাসী আক্রমণ চালিয়েছে। তারা চেষ্টা করেছে জনগণের মধ্যে ভীতির সঞ্চার করতে। শুধু পুলিশ ও আওয়ামী সন্ত্রাসীদের যৌথ আক্রমণই নয়, তারা মিথ্যা মামলা দিয়ে বিএনপি এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের অসংখ্য নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করেছে।

রিজভী আহমেদ বলেন, মহাসমাবেশ থেকে ফেরার পথে খুলনা মহানগরীর বৈকালীর মোড়ে আওয়ামী সন্ত্রাসীদের নারকীয় হামলার শিকার হন জিয়া পরিষদের সহকারী মহাসচিব এ্যাডভোকেট মর্তুজা উল আজম পিটার, কুষ্টিয়া জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি এ্যাডভোকেট গোলাম মোহাম্মদ, বিএনপি নেতা বকুল হোসেন। সেখানে তাদের ৪০টির মতো গাড়ি ভাঙচুর করে। স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় সভাপতি এস এম জিলানীসহ সংগঠনের ১০/১২ জন নেতাকর্মীকে বহনকারী মাইক্রোবাস পুলিশ বাধা দিয়ে আটকায় এবং জিলানী ছাড়া সবাইকে (গাড়ির চালকসহ) গ্রেফতার করে কারাগারে প্রেরণ করা হয়। আজ তাদের জামিন আবেদন করলে তা নামঞ্জুর হয়।

 

 

কিউএনবি/আয়শা/২৩ অক্টোবর ২০২২,খ্রিস্টাব্দ/বিকাল ৪:১৮

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

আর্কাইভস

October 2025
M T W T F S S
 123456
78910111213
14151617181920
21222324252627
282930  
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৫-২০২৩
IT & Technical Supported By:BiswaJit