পূণ্যময় ঈশ্বর ছাঁয়া
————————–
ঈশ্বর ছোঁয়া
আমি ভাবি কত প্রাচুর্যময় তুমি!
জ্যোতিষ শাস্ত্রের কররেখায় অসীম অনন্তের স্থাপনা।
ঈশ্বরের সময়ের দর্পণখন্ড!
আমি ভাবি তুমি কি আমারই অস্তিত্ব?
দৃশ্যমান ক্ষুধা,তৃষ্ণার বিচার বিবেচনা?
যা আমার চোখে বিচরণ করে
হৃদয়ের হাহাকার প্রতিক্ষা
অর্নিবাণ জীবন স্পন্দন যা আত্মার সাথে লেপটে থাকে!
আমি ঘুরে বেড়াই পাহাড়ের নীলাচলে
একাকী মেঘের ঢেউয়ে
একটি অধিকার মিছিলে
নিজের অধিকার লুন্ঠিত হচ্ছে বলে।
একমুঠো বকুলের ঘ্রাণে,
দিঘির পাড়ে..বন ও রাত্তিরে
মৃদুমন্দ বাতাসের শান্ত সাইপ্রাস আর পরিত্যক্ত শহরে
তোমাকে খুঁজি..তোমার অস্তিত্ব মিলিয়ে যায় ধূসরে
হে পৃথিবী!!
মানুষ পূর্ণতায় পৌছাতে চায়
অনুভব করে অসীম আকাশের মেঘের ছোঁয়া
আকাঙ্ক্ষা করে
শ্বাশ্বতকালের পুড়িয়ে ফেলা আগুনের অর্নিবান আলো
সদা চঞ্চল কিশোরীর খলখল হাসি
বৃষ্টিমূখর সান্ধ্য বৃষ্টির মুর্হুমূহ চুম্বন।
যুদ্ধ জয়ের শেষে প্রেমিকার স্পর্স।
আত্মা জেগে ওঠে তখন
পৃর্ণতার পথে
একাকিত্বের জোৎস্নায় ঈশ্বরের ছায়া বাস্তবতা পায় পরাবাস্তবের হাত ধরে।
কবি পরিচিতিঃ কুসুম তাহেরা টাঙ্গাইলের মানুষ। লেখালেখি শৈশব থেকে। কাব্যের প্রতি আকর্ষণ অনুভব করেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখে থাকেন নিজের আনন্দ প্রাপ্তির জন্যে। ঢাকায় তাঁর কর্মময় জীবন। ব্যস্ততার মাঝেও তিনি নিয়মিত লেখালেখি করেন। এই কবিতাটি তাঁর ফেসবুক টাইমলাইন থেকে সংগৃহিত।
কিউএনবি/বিপুল/০৩.১০.২০২২/ রাত ১০.৩৫