থাক না যে যার মতো
————————–
প্রজাপতি আর আমার পিছু ছুটে না, জোনাকি আর আলো দেয় না ,
চাঁদ এখন মায়ার চাঁদরে আগলে রাখে না।
আকাশের নীল রংটাও আমাকে উদারতা শেখায় না,
পাহাড় ?সে তো বরাবরই স্বার্থপরতার উপত্যকায় আমাকে আর নিমন্ত্রন করেনা।
সাগরের উত্তাল ঢেউ আমার কন্ঠকে মিলিয়ে দেয়,যাতে করে আমার দুঃখগুলো বিলীন করতে না পারি ।
কোকিল, আমার জানালায় আর কড়া নাড়ে না। অদূর থেকেই বাহানা করে৷
দক্ষিনা বাতাস আমার চুল উড়ায় না,যে বাতাস আমাকে নিয়ম করে কবিতা শুনাতো সে আজ বড্ড নিষ্ঠুর।
ডাকবাক্সটি খালি পরে আছে বহুকাল।কলম, কালি যেন ফুরিয়ে গেছে সেকাল ।
কাঠগোলাপ আমার থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়, সে নাকি আমায় পরোয়া করে না।
বকুল ফুল ক্যান জানি সুবাসিত করার ইচ্ছাটাই প্রকাশ করে না। সবুজ ঘাস এখন আর শিশির আগলে রাখে না কারন সে জানে শিশির ভেজা ঘাসে হাটতে আমার ভালো লাগে।
সবার সাথেই বন্ধুত্বের ফাটল। ফাটল হওয়াটাই স্বাভাবিক,সারাজীবন পেয়েই আসলাম কিছু তো দিলাম না। “থাক না যে যার মতো”।
আত্মবিশ্বাস সেখানেই ,” নিঃস্বার্থ ভাবে সবাই আমাকে ডেকে নিবে”।
লেখিকাঃ নাহিদা শ্রাবনী। একজন ডিজিটাল ক্রিয়েটর। কলাপাড়া, পটুয়াখালী’র মানুষ। ফেসবুক টাইমলাইনে মাঝে মাঝে লিখেন জীবনের খন্ডচিত্র। আজকের লেখাটি তাঁর ফেসবুক টাইমলাইন থেকে সংগৃহিত।
কিউএনবি /অনিমা/২২.০৬.২০২২ খ্রিস্টাব্দ/ বিকাল ৩.১৭