ডেস্ক নিউজ : সৌদি আরবে শীত না থাকলেও শীতের আমেজে প্রবাসী বাংলাদেশীদের আনন্দ দিতে সমুদ্রের ধারে আয়োজন করা হয় পিঠা উৎসব। এই প্রথম বাংলাদেশি ঐতিহ্যে সৌদি সাংস্কৃতিক মন্ত্রণালয়ের অধীনে ইভেন্ট প্লানিং এন্ড মার্কেটিং কোম্পানির তত্ত্বাবধানে ফ্যামিলি নাইট, কালচারাল শো এবং পিঠা উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বন্দরনগরী জেদ্দার আল করনিসে্ শুক্রবার অনুষ্ঠিত হলো এই জমকালো আয়োজন। সৌদি আরবের ব্যস্ততম নগরী জেদ্দায় করনিসে আধা কিলোমিটার দীর্ঘ এলাকাজুড়ে ‘বাংলার হাসি’ পিঠা ফেস্টিভাল অনুষ্ঠিত হয়।
বাঙালির ঐতিহ্যপূর্ণ সুস্বাদু পিঠা উৎসবে বেশ আগ্রহ নিয়েই প্রবাসী বাঙালিরা অংশগ্রহণ করেন। সাময়িক সময়ের জন্য দেশীয় কৃষ্টিকালচারের স্বাদ আর ব্যতিক্রমধর্মী সাংস্কৃতিক আয়োজন নির্মল আনন্দের খোরাক যোগায় প্রাবাসীদের।
যান্ত্রিক ও ব্যস্ত জীবনের মাঝে দেশি আমেজে একটু সময় কাটানো এবং বাংলাদেশি ঐতিহ্য প্রবাসীদের মাঝে তুলে ধরার উদ্দেশ্যেই এ আয়োজন করা হয় বলে জানান কর্তৃপক্ষ।
বিপুলসংখ্যক প্রবাসীরা পরিবার-পরিজনসহ উৎসবে অংশগ্রহণ করেন। অংশগ্রহণকারী পরিবারের সদস্যদের নিয়ে হরেক রকম পিঠা-পুলি বা পায়েশ খেয়ে একদিকে যেমন তৃপ্তি পান, অন্যদিকে বাঙালির শীতকালীন পিঠা খাওয়ার ঐতিহ্যবাহী উৎসবের মাঝে নিজেকে জড়িয়ে ফেলেন অপার মহিমায়।
সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শুরু হয় সন্ধ্যার পরে। অনুষ্ঠান পরিচালনায় দায়িত্বে ছিলেন- মুহাম্মদ এবিএস রাব্বি ও এম এ সালাম।
উদ্বোধনী বক্তব্য দেন জেনারেল এন্টারটেইনমেন্ট অনুমোদিত প্রতিষ্ঠান ইভেন্ট প্লানিং এন্ড মার্কেটিং কোম্পানির চেয়ারম্যান হাইফা মাহমুদ নাজি ও ইন্টারটেইনমেন্ট জেনারেল অথারেটির এশিয়ান ডিপার্টমেন্ট প্রধান নওশীন আহমেদ।
এতে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন আয়োজক কমিটির প্রধান আশরাফ আলীম।
এছাড়াও আয়োজক কমিটির মেম্বার ফারাহ ওমর, আজিজুল হক মিলন, এম রাশেদ মামুনুল হক মামুন, রিপোর্টার্স এসোসিয়েশন সৌদিআরব সভাপতি এম ওয়াই আলাউদ্দিনসহ অনেকে।
বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ (জাতীয় পাঠক্রম) জেদ্দার চেয়ারম্যান আতাউর রহমান মুকুল, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ইঞ্জিনিয়ার আশরাফ উদ্দিন, সামাজিক ব্যক্তিত্ব ইউসুফ খান, বিলাল হোসেন, মশিউর রহমান, সাইফুল ইসলাম মঞ্জু, ওয়াশিং কবির ও সাখাওয়াত হোসেনসহ আরও অনেকে।
সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের নাচে-গানে হাজার হাজার প্রবাসীদের মাতিয়ে তুলেন খুদে গানরাজ শিল্পী ইমরান, স্থানীয় শিল্পী আকিলা হাসান ও শাকিল।
পিঠা উৎসবের এ অসাধারণ আয়োজেনের জন্য ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড মার্কেটিং কোম্পানিকে কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানান আগত অতিথিরা।
মেলায় আগত মুক্তিযোদ্ধা মহিউদ্দিন ভূইয়া বলেন, “কোনো ঘাটতি রাখেনি আয়োজক কমিটি। বিদেশের মাটিতে হরেক রকমের পিঠার স্বাদ নেওয়ার সুযোগ ও ব্যতিক্রমধর্মী সাংস্কৃতিক আয়োজন করায় সত্যি খুবই ভাল লেগেছে। সৌদির মাটিতে বার বার এমন আয়োজন করে ভ্রাতৃত্ববন্ধনকে আরও সুদৃঢ় করুক, এমনটাই চাই আমরা।
কিউএনবি/অনিমা/১৯শে মার্চ ২০২২ ইং/দুপুর ১২:৫৬