মোঃ সালাহউদ্দিন আহমেদ : নরসিংদীর করিমপুরে মেঘনা নদীতে মাছের স্বাভাবিক প্রজনন বৃদ্ধিতে বাঁধা সৃষ্টি করে নদীতে অবৈধভাবে মাছের ঘের তৈরি ও নৌযান চলাচলে বাঁধা সৃষ্টি করায় অবৈধ মাছের ঘের অপসারণের লক্ষ্যে নৌ-পুলিশ সুপার খো. ফরিদুল ইসলাম এর নেতৃত্বে অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। রবিবার (১৩ মার্চ) সকাল ১১টায় বাংলাদেশ নৌ-পুলিশের ঢাকা অঞ্চলের পুলিশ সুপার খো. ফরিদুল ইসলাম এর নির্দেশনায় করিমপুর নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ( ওসি) মো. ফরিদুল আলমের নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযান চলাকালে পুলিশ সুপার বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৩ খ্রিস্টাব্দে বাংলাদেশ নৌ-পুলিশ গঠন করেন।
নৌপথে কোন রকম প্রতিবন্ধকতা, নৌযানে ডাকাতি, নদীতে মাছের প্রজনন বৃদ্ধি ও নদীতে অবৈধ দখল মুক্ত রাখা নৌ-পুলিশের কাজ। এরই ধারাবাহিকতায় নরসিংদীর মেঘনা নদীতে অবৈধভাবে তৈরি মাছের ঘেরে অভিযান পরিচালনা করে প্রায় ৭০,০০০ (সত্তর হাজার) মিটার অবৈধ চায়না দুয়ারি জাল জেলেদের কাছ থেকে আমরা উদ্ধার করি। অতিরিক্ত আইজিপি ( নৌ-পুলিশ) মো. শফিকুল ইসলাম (বিপিএম বার, পিপিএম) নির্দেশে আমরা এ ধরণের অবৈধ কাজ রোধ করার জন্য রুটিন মোতাবেক নৌ-পুলিশ কাজ করে যাচ্ছি। আমরা বারবার এ ধরণের অবৈধ কাজ থেকে বিরত থাকার জন্য তাদেরকে আহবান করা সত্ত্বেও তারা অবৈধভাবে মাছের ঘের তৈরি করে মাছের প্রজনন রোধে বাঁধা ও নৌযান চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে আসছিল।
তাই করিমপুর নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির মাধ্যমে এঅভিযান পরিচালনা করা হয়। করিমপুর নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বলেন, করিমপুর নৌ-পুলিশ ফাঁড়ি নৌপথে নৌযান নির্বিঘ্নে চলাচল করার জন্য নদীতে অবৈধ মাছের ঘের ধ্বংস করার জন্য করিমপুর নৌ-পুলিশ বদ্ধ পরিকর। নৌ-পুলিশ ফাঁড়ি থেকে বারবার তাগিদ দেওয়া শর্তেও তারা আমলে না নিয়ে এভাবে নদীর মাঝখানে ও নদীর দুপাশে অবৈধভাবে মাছের ঘের তৈরি করে প্রতিবন্দ্বকতা সৃষ্টি করে। এর ফলে প্রায় সময়ে নৌ দুর্ঘটনা ঘটছে। নৌ দুর্ঘটনা রোধ ও মাছের প্রজনন এবং মাছের স্বাভাবিক চলাচলের জন্য আজ এ অভিযান।
এ ধরণের অভিযান সবসময় অব্যাহত থাকবে বলেও তিনি জানান। অভিযানে ২টি ভল্বগেট, ৪টি নৌযান ও ২টি স্পীড বোর্ড নিয়ে নরসিংদী সদর উপজেলার করিমপুর ইউনিয়নের জগৎপুর, শ্রীনগর, আলোকবালি ইউনিয়নের বলশালী পুর, মুরাদ নগর, বাখরনগর, রায়পুরা থানাধীন চড় আড়ালিয়া ইউনিয়নের বাঘাইকান্দি, বটতলীসহ আশপাশে এলাকায় অভিযান চালিয়ে বাঁশ, কচুরিপানা ও জাল দিয়ে তৈরি অবৈধ মাছের ঘের উচ্ছেদ করা হয়। অভিযান চলাকালে পুলিশ সুপারের সাথে ঢাকা অঞ্চলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ( সার্কেল) আবু দেলোয়ার হোসেন ইমাম ও ঢাকা অঞ্চলের নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির বিভিন্ন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ও ফোর্সগণ উপস্থিত ছিলেন।
কিউএনবি/আয়শা/১৩ই মার্চ, ২০২২ খ্রিস্টাব্দ/সন্ধ্যা ৬:৩৮