আনিছুর রহমান মানিক, ডোমার (নীলফামারী) প্রতিনিধি : নীলফামারী ডোমারে ৪০দিন শৃজন কর্মসুচির আওতায় মাটিকাটা কাজের সুবিধাভোগিদের যাছাই বাছাই ও মোবাইল একাউন্ট খোলার বিষয়ে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে।্ সংশ্লিষ্ট কর্তপক্ষ ও সচিব মোবাইল সিম কম্পানির লোকজনের সাথে যোগসাজস করে সুবিধাভোগি ব্যক্তিদের টাকা উত্তলনের জন্য মোবাইল একাউন্ট খুলে দিয়ে টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ করেন ভুক্তভুগিরা।ঘটনাটি উপজেলা সোনারায় ইউনিয়ন পরিষদে, এলাকাবাসী নজরুল ইসলাম জানান, পরিষদ কর্তৃপক্ষ ঠিকমতো যাছাই বাছাই না করে নিজের মনমতো লোক বাছাই করে কর্মসূচিতে অর্ন্তভুক্ত করছে। এতে করে উক্ত কর্মসুচির আওতায় হতদরিদ্র ব্যক্তিরা কাজ পাওয়া থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। অপরদিকে সচিব নিজে সিম কোম্পানীর লোকদের সাথে জোগসাজস করে একাউন্ট খুলতে ১২০ থেকে ১৫০ টাকা পর্যন্ত টাকা হাতিয়ে নিয়ে জমজমাট ব্যবসা করছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক টেলিকম ব্যবসায়ী জানান, এর আগেও আমরা বিভিন্ন কর্মসুচির আওতায় সুবিধাভোগি ব্যক্তিদের একাধীক একাউন্ট খুলে দিয়েছি। পিন নম্বর বা টাকা উত্তলনে সমস্যা হলে আমরা নিজ দায়িত্বে তা সমাধান করেছি। এবার আমাদের বাদ দিয়ে সিম কোম্পানির লোকদের এনে টাকার বিনিময়ে একাউন্ট করে দিয়ে সাধারণ মানুষের সাথে প্রতারনা করছে। এতে করে পিন নম্বর নিয়ে টাকা উত্তলনে নানামূখি জটিলতার দেখা দিতে পারে। পরে কোম্পনির লোকদের না পেয়ে আমাদেরকে তা সমাধান দিতে হবে। এ বিষয়ে একাউন্ট খুলে দিতে আসা বাংলা লিং সিম কোম্পানির ডিপি মোকারম হোসেন জানান, সচিব আমাদের আসতে বলেছে লোকদের একাউন্ট খুলে দেয়ার জন্য আমরা একটা করে সিম দিয়ে একাউন্ট খুলে দিচ্ছি। তার বিনিময়ে আমরা ১২০ টাকা গ্রাহকের কাছে নিচ্ছি।
ইউপি সচিব তারেক রহমান বলেন, সাবেক চেয়াম্যোন ও ইউপি সদস্যগণ নিয়ম মতে সরেজমিনে যাছাই বাছাই করে শ্রমিক নির্ধারণ করেছে। ওই কর্মসুচির আওতায় ২৩৬জন শ্রমিক নেয়া হবে। প্রতিদিন তারা কাজের বিনিময়ে ৪শত করে টাকা পাবে। নিজের মোবাইল সিমে রকেট একান্টের মাধ্যমে নিজের টাকা তুলতে পারবে। তাই তাদের সুবিধার জন্য অন্য কোথায় থেকে সিম না নিয়ে কোম্পানির লোকের কে ডেকে একাউন্ট করে দিচ্ছি।
কিউএনবি/অনিমা/১২ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ খ্রিস্টাব্দ/বিকাল ৩:২৮