ক্রীড়া ডেস্ক : ২০২৫ এমএলএস কাপ ফাইনাল ঘিরে ফুটবল দুনিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে টানটান উত্তেজনা। ইন্টার মায়ামির লিওনেল মেসি ও ভ্যাঙ্কুভার হোয়াইটক্যাপসের নতুন তারকা থমাস মুলার মুখোমুখি হতে যাচ্ছেন আরো একবার। ম্যাচটিতে থাকছে এক ম্যাচে দুই কিংবদন্তির ইতিহাস গড়ার লড়াই। ভ্যাঙ্কুভার হোয়াইটক্যাপসের সঙ্গে চুক্তি করার পর প্রথম দিকের এক সাক্ষাৎকারেই ইন্টার মায়ামির লিওনেল মেসিকে উদ্দেশ্য করে থমাস মুলার বলেছিলেন, ‘আমি আবারও তোমাকে শিকার করব’। ফাইনালের আগে তার সেই আলোচনা আরো একবার আলোচনায়।
আগামী ৬ ডিসেম্বর মায়ামির চেস স্টেডিয়ামে এমএলএস কাপ ফাইনালে মুখোমুখি হচ্ছে এই দুই কিংবদন্তি। জয়ের মাধ্যমে ইতিহাস গড়ার সুযোগ থাকছে দু’জনেরই। ফুটবল ইতিহাসে প্রথমবারের মতো একই সঙ্গে ফিফা বিশ্বকাপ ও এমএলএস কাপ জেতার কীর্তি গড়তে যাচ্ছেন বিজয়ী খেলোয়াড়। এটি মেসি ও মুলারের ১১তম এবং প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচে ৯ম মুখোমুখি লড়াই। আগের লড়াইগুলোতে বড় ব্যবধানে এগিয়ে জার্মান তারকা, প্রতিযোগিতামূলক ৮ ম্যাচের ৭টিতেই জিতেছেন মুলার। এর মধ্যে রয়েছে ২০১৪ বিশ্বকাপের ফাইনালও। আর মেসির তিন জয়ই এসেছে প্রীতি ও নন-নকআউট ম্যাচে।
২০১০ : জার্মানি ০ : ১ আর্জেন্টিনা
২০১২ : জার্মানি ১ : ৩ আর্জেন্টিনা
প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচে মুলার এগিয়ে থাকলেও প্রীতি ম্যাচগুলোতে আধিপত্য ছিল মেসির। ২০১০ সালের মার্চে দুই তারকার প্রথম দেখা, সে ম্যাচে হিগুয়েনের গোলে জেতে আর্জেন্টিনা। ২০১২ সালের আরেক প্রীতি ম্যাচে ৩–১ ব্যবধানে জেতে মেসির দল; মুলার খেলেন মাত্র ৩২ মিনিট।
৬. ২০২২–২৩ উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগ শেষ ষোলো
বায়ার্ন মিউনিখ ৩ : ০ পিএসজি পিএসজিতে মেসির সময়টা নতুন করে চ্যাম্পিয়নস লিগ জয়ের প্রত্যাশা জাগালেও তা পূরণ হয়নি। মুলারের বায়ার্ন শেষ ষোলোতেই মেসির পিএসজিকে ৩–০ গোলে হারিয়ে টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে দেয়, যদিও মুলার গোল পাননি।
বায়ার্ন মিউনিখ ৭ : ০ বার্সেলোনা এই মৌসুমে বায়ার্নের সোনালি সময়। দুই লেগে তিন গোল করেন মুলার। প্রথম লেগে ৪–০ গোলে জেতে বায়ার্ন। দ্বিতীয় লেগে খেলতেই পারেননি মেসি।
৪. ২০১০ ফিফা বিশ্বকাপ কোয়ার্টারফাইনাল
আর্জেন্টিনা ০ : ৪ জার্মানি বিশ্বকাপে দুর্দান্ত সময় কাটানো মুলার পাঁচ গোল করে জিতেছিলেন গোল্ডেন বুট। কোয়ার্টারে মেসির আর্জেন্টিনাকে ৪–০ গোলে বিধ্বস্ত করে জার্মানি। গোল পান তরুণ মুলারও।
৩. ২০১৯–২০ উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগ কোয়ার্টারফাইনাল
বায়ার্ন মিউনিখ ৮ : ২ বার্সেলোনা মুলার–মেসি প্রতিদ্বন্দ্বিতার সবচেয়ে একতরফা ম্যাচ। মুলার করেন দুই গোল, বার্সেলোনা হারে ৮–২ গোলে। এটি ছিল মেসির ক্যারিয়ারের সবচেয়ে হতাশাজনক হার।
২. ২০১৪–১৫ উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগ সেমিফাইনাল
বার্সেলোনা ৫ : ৩ বায়ার্ন মিউনিখ মেসির শেষ চ্যাম্পিয়নস লিগ জয়ের পথে অন্যতম বড় বাধা ছিল বায়ার্ন। প্রথম লেগে ৩–০ ব্যবধানে জেতে বার্সা, মেসির দুই গোল ও এক অ্যাসিস্ট। দ্বিতীয় লেগে নেইমারের দুই গোলে জয় পায় বার্সা; মুলারও একটি গোল করেন।
১. ২০১৪ ফিফা বিশ্বকাপ ফাইনাল
জার্মানি ১ : ০ আর্জেন্টিনা মুলার–মেসির প্রতিদ্বন্দ্বিতার শীর্ষে নিঃসন্দেহে রিও ডি জেনেইরোর সেই রাত। মুলারের পাস থেকেই আসে মারিও গোটজের অতিরিক্ত সময়ের গোল, জিতে নেয় জার্মানি। এটাই ছিল প্রথমবার যখন দুই তারকা সরাসরি কোনো বড় শিরোপার জন্য মুখোমুখি হন। মেসি খেলেছিলেন পুরো ১২০ মিনিট। তখনো তার বড় আন্তর্জাতিক শিরোপা ছিল না। লিওনেল মেসি বনাম থমাস মুলার পরিসংখ্যান
| পরিসংখ্যান |
মেসি |
মুলার |
| জয় |
৩ |
৭ |
| গোল |
৩ |
৬ |
| মিনিট |
৯৩০ |
৭৪১ |