জালাল আহমদ, ঢাবি : বাংলা চলচ্চিত্রের কিংবদন্তী অভিনেতা এবং জাসাসের সাবেক সভাপতি ওয়াসিমুল বারী রাজিব কে চলচ্চিত্র জগত ও তার দলের লোকজন সবাই ভুলে গেছেন বলে আক্ষেপ করেছেন বিএনপি নেতা রেজাবুদ্দৌল্লাহ চৌধুরী।
আজ ২২ নভেম্বর (২০২৫) ইং শনিবার বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি’র মুনির চৌধুরী হলে কিংবদন্তী অভিনেতা মরহুম ওয়াসিমুল বারী রাজিবের ২১ তম মৃত্যু বার্ষিকী উপলক্ষ্যে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। স্বদেশ সাংস্কৃতিক সংসদ (স্বসাস) এর উদ্যোগে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে সভাপতিত্ত্ব করেন আহসান উল্লাহ চৌধুরী এবং উপস্থাপনা করেন সংগঠনের চেয়ারম্যান ডা: আরিফুর রহমান মোল্লা ৷
সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্যে বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক রেজাবুদ্দৌল্লাহ চৌধুরী বলেন, “১৯৮২ সালে কাজী হায়াৎ-এর ‘খোকন সোনা’ নামের একটি সিনেমা দিয়ে চলচ্চিত্রে অভিষেক হয় রাজীবের।তখন থেকেই তিনি চলচ্চিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে দর্শকদের মাঝে জনপ্রিয়তা অর্জন করেন।বিএনপির সাংস্কৃতিক সংগঠন ‘জাতীয়তাবাদী সাংস্কৃতিক সংস্থা’ এর কর্মকাণ্ড সারাদেশে ছড়িয়ে দিয়েছিলেন রাজিব”।
এ সময় বাংলা চলচ্চিত্রের কিংবদন্তী অভিনেতা এবং জাসাসের সাবেক সভাপতি ওয়াসিমুল বারী রাজিব কে চলচ্চিত্র জগত ও তার দলের লোকজন সবাই ভুলে গেছেন বলে আক্ষেপ করেছেন বিএনপির সাবেক এই নেতা! প্রধান আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন জাসাসের সাবেক সভাপতি ও বিএনপির প্রান্তিক জনশক্তি উন্নয়ন বিষয়ক সম্পাদক এম এ মালেক, বাবুল আহমেদ,রেডক্রিসেন্টের পরিচালক ও বিএম কলেজের সাবেক ভিপি জাফর ইমাম,জাসাসের যুগ্ম আহ্বায়ক রফিকুল ইসলাম, কন্ঠ শিল্পী হাসান চৌধুরী, আলহাজ্ব জাহাঙ্গীর আলম সিকদার, মীর সানাউল হক, বিপাশ আনোয়ার, সংগীত শিল্পী সাজ্জাদ,আক্তার হোসেন প্রমুখ।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশী অভিনেতা ওয়াসীমুল বারী রাজীব চলচিত্র জগতে ‘রাজীব’ নামেই বেশি পরিচিত ছিলেন । তিনি ১ জানুয়ারি ১৯৫২ সালে জন্মগ্রহণ করেন এবং ১৪ নভেম্বর ২০০৪ সালে মৃত্যুবরণ করেন।তিনি প্রায় চার শতাধিক বাংলা চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। খলনায়ক হিসেবে সফল হলেও অনেক চলচ্চিত্রে ভিন্ন চরিত্রেও অভিনয় করেছেন তিনি। তার উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্রের মধ্য রয়েছে তিনি দাঙ্গা (১৯৯২), হাঙর নদী গ্রেনেড (১৯৯৭), ভাত দে (১৯৮৪) প্রভৃতি।
কিউএনবি/আয়শা/২২ নভেম্বর ২০২৫,/রাত ১০:০৮