ডেস্ক নিউজ : হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো হাউজে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের পর সিলগালা করা স্ট্রং রুমের তালা ভাঙা পাওয়া গেছে। তালা ভাঙার পর এখান থেকে মূল্যবান জিনিসপত্র থেকে শুরু করে স্পর্শকাতর ডকুমেন্ট খোয়া যাওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
জিডিতে আরও বলা হয়, পরের দিন ২৮ অক্টোবর সকাল ৭টা ৭ মিনিটে বিমান নিরাপত্তা শাখার ডিউটি অফিসার জাহাঙ্গীর আলম খানের মাধ্যমে জানতে পারেন, স্ট্রং রুমের ভল্টের তালা লাগানো নেই। বিষয়টি ডিজিএম সিকিউরিটিকে জানিয়ে আমি বিমানবন্দরে আসি। ডিজিএম সিকিউরিটিও বিমানবন্দরে আসেন। বিমান নিরাপত্তা ডিউটি অফিসার জাহাঙ্গীর আলম খান ও ডিজিএম সিকিউরিটি উভয়ে কর্তব্যরত পুলিশ সদস্যসহ স্ট্রং রুমের ভল্টের কাছে গিয়ে দেখেন কোনো তালা লাগানো নেই।
এ বিষয়ে মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) ডিএমপির উত্তরা বিভাগের উপ-পুলিশ (ডিসি) মহিদুল ইসলাম বলেন, স্ট্রং রুমের কাছে পুলিশ যেতে পারে না বা ওইখানে আমাদের কোনো কাজ নেই। সেখানের তালা ভাঙার একটি জিডি হয়েছে বিমানবন্দর থানায়। এ বিষয়ে আমরা তদন্ত করছি। আর ভেতর থেকে কোনো কিছু লুট হয়েছে কি না এ বিষয়ে আমরা কিছু জানি না।
বিষয়টি বিমানবন্দরের কর্মকর্তারা জানান, বিমানবন্দরের কার্গো আমদানি কমপ্লেক্সের স্ট্রং রুমের ভল্টে সাধারণত মূল্যবান জিনিসপত্র ও জরুরি কাগজপত্র রাখা হয়। আমদানির জন্য প্রয়োজনীয় নথি, শুল্কসংক্রান্ত কাগজপত্র ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক দলিলপত্র রাখা হয়। এ ছাড়া খুব বেশি মূল্যবান হওয়া কিছু আমদানি করা পণ্য সাময়িকভাবে ভল্টে রাখা হয়। সাধারণত স্বর্ণ, হীরা ও আগ্নেয়াস্ত্রসহ উচ্চমূল্যের ও সহজে বহনযোগ্য পণ্য নিরাপত্তার জন্য রাখা হয়ে থাকে। সেখান থেকে পণ্য বের করতে হলে কয়েকজনের স্বাক্ষর লাগে। কয়েক স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকে বলেই স্ট্রং রুম বলা হয়।
বিমানবন্দরের কর্মকর্তারা আরও জানান, গত ১৮ অক্টোবর ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের পর বিমানবন্দরের কার্গো হাউজ কড়া নিরাপত্তায় ঢেকে ফেলা হয়। স্পর্শকাতর স্থানে সাধারণ মানুষের চলাচলও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এমন কড়া নিরাপত্তার মধ্যেই স্ট্রং ভল্টের তালা কারা কেটেছে বা ভেঙেছে তা নিয়ে উদ্বিগ্ন সংশ্লিষ্টরা। এ ছাড়া ভেতর থেকে কোনো মালামাল খোয়া গেছে কি না বা লুট হয়েছে কি না তা নিয়েও সংশ্লিষ্টরা কোনো কথা বলছেন না।
কিউএনবি/খোরশেদ/০৪ নভেম্বর ২০২৫,/বিকাল ৪:৩৪