নরসিংদী রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক (এসআই) দিলীপ চন্দ্র সরকার বলেন, কমলা বেগম ডায়াবেটিসসহ রোগে আক্রান্ত। চিকিৎসার জন্য তিনি মেয়ের বাড়িতে আসেন। বৃহস্পতিবার বিকেলে কমলা বেগম তার নাতনী ও প্রতিবেশী সাদিয়াকে নিয়ে বাড়ির পাশের ঢাকা-চট্টগ্রাম রেল সড়কে হাঁটতে বের হন। এসময় ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম অভিমুখে উপকূল এক্সপ্রেস ও চট্টগ্রাম থেকে ঢাকার দিকে অজ্ঞাত একটি ট্রেনের ক্রসিং হচ্ছিল।
এ সময় অসাবধানতাবশত কোনো এক ট্রেনের নিচে কাটা পড়ে ঘটনাস্থলেই কমলা বেগম ও সাদিয়া নিহত হন। শিশুটিকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। ভৈরব রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাঈদ আহমেদ জানান, বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) বিকেলে গাজীপুরের কালীগঞ্জের আড়িখোলায় ঢাকা-চট্টগ্রাম রেল সড়ক ধরে কমলা তার পুত্রবধূ ও নাতনী নিয়ে হাঁটছিলেন। এ সময় একটি ট্রেনে নিচে পড়ে তারা কাটা পরে ঘটনাস্থলেই নিহত হন।